বাংলাদেশ এখন ফরমালিনমুক্ত: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে এখন ফল, শাক-সবজি কিংবা মাছ সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2017, 11:26 AM
Updated : 30 April 2017, 01:12 PM

রমজান উপলক্ষে রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় তিনি এই দাবি করেন।

বাংলাদেশে পচনশীল খাদ্যপণ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় ফরমালিন ব্যবহার গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় রয়েছে। এটা ঠেকাতে বাজারে বাজারে অভিযানও চলে।

ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষায় বিভিন্ন বাজারে যন্ত্রও সরবরাহ করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রোববারের সভায় ওই যন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে এক ব্যবসায়ীর প্রশ্ন তোলার পর বাণিজ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য আসে।

ঢাকার মিরপুরের শাহ আলী সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে একটা ফরমালিন মেশিন দেওয়া হয়েছিল।

“এটা এখন কোনো কাজে আসে না। এটা কেন দিয়েছে? কী কারণে দিয়েছে? কোনো ফল পাইনি।”

ভোক্তাদেরকে ফল-সবজি ‘বিষমুক্তভাবে’ খাওয়াতে পারছেন না স্বীকার করে তিনি এবিষয়ে সরকারের দৃষ্টি প্রত্যাশা করেন।

“মন্ত্রীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, ফরমালিনমুক্ত মাছ-ফল-তরকারি যেন খাওয়াতে পারি। এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলব। বাজার মনিটরিং রমজান আসলেই ফলাও করা হয়। বাকি ১১ মাস কি খাই না? তখন কেন মনিটরিং থাকে না।”

তখন মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আপনি যেটা বললেন, এটা আমাদের জানা নাই। তবে ফরমালিন এখন আর ব্যবহার হয় না।”

মাছের ফরমালিনের পরীক্ষা (ফাইল ছবি)

ফরমালিনের অপব্যবহার রোধ করতে ২০১৫ সালে ‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়ন করাহয়।

তোফায়েল বলেন, “ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন আমরা যখন পাস করলাম, এরপর আর কেউ ফরমালিন আমদানি করতে পারে না। শিল্প-কলকারখানায় যে ফরমালিন লাগে, সেটা আমার অনুমতি লাগে।

“ফরমালিন নিয়া এখন কিন্তু কোনো আলোচনা নাই। যে কথাটা বললেন, অনেক পুরানা কথা বললেন, ফল-শাক-সবজি-মাছ কোনো জায়গায় ফরমালিনের নাম নাই। বাংলাদেশ এখন ফরমালিনমুক্ত- এক কথা আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি।”

ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় সরকার ‘যথেষ্ট সচেতন’ বলে দাবি করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।  

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন পণ্যের আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন বাজারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও বক্তব্য রাখেন।