মন্ত্রীর আশ্বাস: হুমকি থেকে সরলেন মাংস ব্যবসায়ীরা

পশুর হাটে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে রমজানের শুরু থেকে কর্মবিরতির হুমকি থেকে সরে এসেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2017, 08:39 AM
Updated : 30 April 2017, 09:13 AM

সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি ঘোষণার দেড় ঘণ্টার মাথায় রোববার দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের তা তুলে নেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।

তিনি বলেন, “এই সরকার আমাদের, এই সরকারের সুনাম রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। মন্ত্রীর সামনে কথা দিলাম, কোন ধর্মঘটে আমরা যাব না। আমার নেতা যদি চায়, সমস্যা সমাধান হতে এক মিনিটও লাগবে না।

সচিবালয়ে রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

সেখানে তোফায়েলের উদ্দেশ্যে মাংস ব্যবসায়ীদের নেতা রবিউল বলেন, “আপনি ব্যস্ত মানুষ, জাতির বিবেক। বঙ্গবন্ধুর গন্ধ আপনার শরীরে পাওয়া যায়। এত অত্যাচার মাংস ব্যবসায়ীদের উপর হচ্ছে! দেখার কেউ নাই।”

বলতে বলতে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

তখন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শোনেন, দু-চার দিনের মধ্যে আমি আপনাদের সঙ্গে বসব। আপনাদের সমস্যা চিহ্নিত করে সিটি করপোরেশনের দুজন মেয়রের সঙ্গে বসে আপনাদের সমস্যা সমাধান করব।”

এসময় একজন সাংবাদিক জানান, মাংস ব্যবসায়ীরা ১ রমজান থেকে ধর্মঘট ডেকেছেন।

তখন বাণিজ্যমন্ত্রী মাংস ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “না না, স্ট্রাইকে যাইয়েন না।”

এরপর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল ধর্মঘট থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।

গাবতলীর পশুর হাটের খাজনা নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরে রবিউল বলেন, “একটি মাত্র স্থায়ী গরুর হাট হওয়ায় আমরা সেখানে যেতে বাধ্য হই। অত্যাচারের এমন কোনো মাত্রা নেই যা আমাদের উপর হয়নি।

“আপনার কাছে অনুরোধ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একটি গরুর হাট দিন, সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে।”

এর আগে সকালে রিপোর্টার্স ইউনিটির সংবাদ সম্মেলনে রবিউল বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে ১ রমজান থেকে সারা দেশের মাংস ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতিতে যাবে।

এর আগে দাবি আদায়ে চলতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘট ডেকে পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমঝোতা হলে পাঁচ দিন পর তা প্রত্যাহার করেন মাংস ব্যবসায়ীরা।