বে ইকোনমিক জোনের চূড়ান্ত অনুমোদন

গাজীপুরের সদর উপজেলায় বেসরকারি উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লাইসেন্স  পেয়েছে বে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বে ইকোনমিক জোন লিমিটেড।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2017, 12:51 PM
Updated : 24 April 2017, 12:51 PM

এর মধ্য দিয়ে চতুর্থ কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজা।

সোমবার কারওয়ান বাজার বিডিবিএল ভবনে বেজার প্রধান কার্যালয়ে বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের হাতে এ লাইসেন্স তুলে দেন বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

গাজীপুর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে গাজীপুর সদর উপজেলায় এলাকায় প্রায় ৬৫ একর জমিতে স্থাপিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম বছরেই দুই হাজার এবং পাঁচ বছরে ২০-৩০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানান বে ইকোনমিক জোন লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

ইকোনমিক জোনে বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ, পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট, কঠিন বর্জ্য ও নোংরা পানি অপসারণ, তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে বলে বেজা থেকে জানানো হয়।

বে ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগকারীরা ‘চমৎকার বিনিয়োগ পরিবেশ’ পাবে এমন মন্তব্য করে পবন চৌধুরী বলেন, “বিনিয়োগকারীরা চায় ভাল রোড, গ্যাস, ইলেকট্রিসিটি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যা আমরা নিশ্চিত করছি। তারা যদি ভবিষ্যতে এবিষয়ে কোনো সমস্যা পড়ে, তার দায় বেজা নিবে।”

এরই মধ্যে চায়না, হংকং, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তারা রাজধানীর পাশেই নির্মাণাধীন এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এরই মধ্যে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি। 

বে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান বলেন, “চায়নার সাথে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের টাকা বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, আগামী এক-দুই বছরের মধ্য আরও দুই-তিন কোটি ডলারের বিনিয়োগ চায়না থেকে পাবার আশা রয়েছে।” 

সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক, হরিপ্রসাদ পাল ও বেজা নির্বাহী বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আইয়ুবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দীর্ঘ সাত বছর ধরে কাজ করছে বেজা।

এরই মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান এবং এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে (মেঘনা, আবদুল মোনেম, আনাম অর্থনৈতিক অঞ্চল) করার চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়েছে বেজা।

২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে প্র্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এই সংস্থা।