প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় বেড়েছে ১১%

গ্রামীণফোন চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2017, 03:02 PM
Updated : 23 April 2017, 03:02 PM
এই তিন মাসে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ গ্রাহকও যোগ করেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটরটি। তাদের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে এখন ৫ কোটি ৯৯ লাখ।

এই প্রান্তিকে ৭ লাখ নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যোগ হয়ে গ্রামীণফোনের মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫২ লাখে। ফলে তাদের মোট গ্রাহকের ৪২ দশমিক ২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

এ সময়ে ডেটা থেকে অপারেটরটির রাজস্ব বেশি বেড়েছে, এই অঙ্ক ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ। ভয়েস কল থেকে অর্জিত রাজস্ব গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম প্রান্তিকের রাজস্ব আয়ের খতিয়ান তুলে ধরে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পেটার ফারবার্গ বলেন, “আমরা বছরের শুরুতেই একটি ভালো প্রান্তিক পার করেছি।

“আমাদের ডেটা ও ভয়েস রাজস্বের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে, যা থেকে বোঝা যায় যে সেরা মানের নেটওয়ার্ক এবং সহজ সেবার বিষয়ে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি আছে, তা গ্রাহকদের জন্য অধিকতর মূল্য সংযোজন করছে।”

আয়কর প্রদানের পর ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকের ২০ দশমিক ৪ শতাংশ মার্জিনসহ ৫৬০ কোটি টাকা মুনাফার তুলনায় ২০১৭ এর প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের নিট মুনাফা ২১ দশমিক ৪ শতাংশ মার্জিনসহ ৬৬০ কোটি টাকা।

দেশের বৃহত্তম করদাতা গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে সরকারি কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে ১১৮০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

কোম্পানির সিএফও দিলীপ পাল বলেন, “রাজস্ব প্রবৃদ্ধি এবং পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগের ফলে গ্রামীণফোনের ভালো আয় হয়েছে। এই প্রান্তিকের ফলাফল এটাই প্রমাণ করে যে ভবিষ্যতে কোম্পানির মুনাফা অক্ষুণ্ন রাখতে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং পরিচালন দক্ষতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে থ্রি জি নেটওয়ার্ক স্থাপন, টু জি নেটওয়ার্কের মানোন্নয়ন এবং দক্ষতা বাড়াতে ৪৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে জানানো হয়।

এই সময় ২৩৮টি টু জি এবং ৭৭৬টি থ্রি জি বেইজ স্টেশন স্থাপন করেছে গ্রামীণফোন, যার ফলে কোম্পানির টু জি সাইটের সংখ্যা হয়েছে ১২,২২২টি এবং ৩জি সাইটের সংখ্যা হয়েছে ১১,৩৩২টি।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯৯ ভাগেরও বেশি গ্রামীণফোনের টু জি এর আওতায় এবং ৯১ ভাগ থ্রি জির আওতায় এসেছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।