গ্রামীণফোনের কলড্রপ নিয়ে টেলিনর প্রধানের কাছে মুহিতের নালিশ

বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের কলড্রপ নিয়ে এবার টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিগভে ব্রেকের কাছে অসন্তোষ জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আবদুর রহিম হারমাছি ওয়াশিংটন ডিসি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2017, 06:18 AM
Updated : 22 April 2017, 07:04 AM

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্ব ব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক চলাকালে টেলিনর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠক শেষে মুহিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টেলিনর প্রেসিডেন্টকে আমি বলেছি, তোমাদের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ প্রত্যেকবার একটা; এত কলড্রপ হয় কেন?

“তিনি আমার অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, আমরা তাদের যে স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) দিয়েছি সেটা সাফিসিয়েন্ট (যথেষ্ট) নয়। তিনি বললেন, আমাদের স্পেকটাম ডিভাইডেড টু পার্ট। একটি হচ্ছে-ডেটা এবং অপরটি টেলিফোন (ভয়েস)। ডেটাতে অনেক আনইউজড ক্যাপাসিটি আছে। কিন্তু টেলিফোনে নেই। সে কারণেই এই কলড্রপ সমস্যা।”

১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা গ্রামীণফোনের ৫৫.৮ শতাংশের মালিকানা রয়েছে নরওয়ের কোম্পানি টেলিনরের হাতে।

কলড্রপ সমস্যা নিরসনে আরও তরঙ্গ বরাদ্দ টেলিনর প্রেসিডেন্ট চেয়েছেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

সিগবে ব্রেকে

তিনি বলেন, “নামে থ্রি জি হয়েছে বলা হলেও আসলে আমরা কিন্তু টু জিতেই আছি। এখন আমাদের ফোর জিতে যেতে হবে। টেলিনর প্রেসিডেন্টও সেই গুরুত্বই দিয়েছেন।

ফোর জির নিলামের বিষয়ে দেশে ফিরেই বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান মুহিত।

কবে নাগাদ নিলাম ডাকা হবে-এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‍“দেশে ফিরেই আমার আবার মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এডিবির বার্ষিক সভায় যোগ দিতে জাপান যেতে হবে। তার পর বাজেট…। বাজেটের পর অকশন ডাকা হবে।”

পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহকের অপারেটর গ্রামীণফোনের কলড্রপের বিষয়টি এর আগেও আলোচনায় এসেছে। প্রতিটি ভয়েস কল ড্রপের জন্য এক মিনিট ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও দিয়েছিল তারা।

গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ওই ‘অফার’ চালুর কথা ফলাও করে প্রচার করলেও ‘গ্রাহকদের না জানিয়েই’ কয়েক দিনের মধ্যে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।