মৈত্রী এখন সম্পূর্ণ ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত’

ঢাকা থেকে কলকাতার পথের মৈত্রী এক্সপ্রেস এখন সম্পূর্ণ ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2017, 07:26 AM
Updated : 14 April 2017, 07:26 AM

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক শুক্রবার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে এই নতুন সেবার উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, “ট্রেনযাত্রা আরও আরামদায়ক ও সহজ করতে শতভাগ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নতুন এই ট্রেন দুই দেশের জনগণের বিরাট উপকার করেছে।”

ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এবং কলকাতার চিতপুর থেকে সপ্তাহে চার দিন মৈত্রী এক্সপ্রেসের সেবা চালু থাকলেও সম্পূর্ণ শীতাতপ সুবিধার ট্রেন এবারই প্রথম।

ভারতের সঙ্গে রেল যোগযোগ বাড়াতে আগামী জুলাই মাসে খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা ট্রেন সেবা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী।  

মৈত্রী এক্সপ্রেস ‘মানসম্মত’ সেবা দিচ্ছে- এমন দাবি করে রেলপথ সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন বলেন, “নতুন বর্ষে নতুন কলেবরে এই প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু করেছি। আগে যেখানে সম্পূর্ণ যাত্রী হত না, এখন একটি চেয়ারও খালি যায় না।”

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ২০০৮ সালে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে এই ট্রেনে নিত্যনতুন সুবিধা যোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

“আমাদের মিশন- যাত্রী সেবার পরিধি ও মান বাড়ানো এবং নতুন কোচ ও ট্রেন সংযোজন করা।”

ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ছাড়াও রেল মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।

সূচি

বাংলাদেশ ও ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই রুট পরিচালনা করে। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতা পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১৩ ঘণ্টা।

শুক্র, শনি, সোম ও বুধবার মৈত্রী এক্সপ্রেস বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়।

শুক্র, শনি, রবি ও মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এই ট্রেন কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে।

 

টিকেট মিলবে যেভাবে

ঢাকা কলকাতা রুটের টিকেট সংগ্রহের জন্য পাসপোর্ট দেখাতে হবে। বাংলাদেশে ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে এবং কলকাতার চিতপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তর্জাতিক এ রুটের টিকেট সংগ্রহ করা যায়। কেনা যায় ফিরতি পথের টিকেটও।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টিকেট বিক্রি হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে কাউন্টারে দিলে টিকেট পাওয়া যায়।

ট্রেনে ভারত ভ্রমণের জন্য  ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের ‘গেদে’ এবং ভারতীয়দের ‘দর্শনা’ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের কথা উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।

ভাড়া

পুরো ট্রেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় মৈত্রী এক্সপ্রেসের কেবিনে প্রতি আসনের ভাড়া ২০ মার্কিন ডলার, সঙ্গে ১৫% ভ্যাট। আর চেয়ারের ভাড়া ১২ মার্কিন ডলার, সঙ্গে ১৫% ভ্যাট।

সব শ্রেণির টিকেটের সঙ্গে ৫০০ টাকার ট্র্যাভেল ট্যাক্স যোগ হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে পাঁচ বছর বা তার কম বয়সীরা ৫০% কম ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবে।