বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
সৌদি আরবসহ মধ্যপাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জগন্নাথ চন্দ্র ঘোষ জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের অনেক অনাবাসী বাংলাদেশি যারা বিদেশ থেকে দেশে আসেন, বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন- তাদের কাছে কিছু সৌদি রিয়াল থাকে। সেগুলো নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে।
“সেই টাকাগুলো যদি বিমানবন্দরের ব্যাংক বুথগুলোর মাধ্যমে রেসপেক্টিভ ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়ে যায়, তাহলে তার জন্য সুবিধা হয়।”
সার্কুলারের মাধ্যমে সেই সুযোগটিই করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে জগন্নাথ চন্দ্র বলেন, “যদি একজন অনাবাসী বাংলাদেশি আগে একটা ফরেন কারেন্সি একাউন্ট খুলে থাকেন এবং যে ব্যাংকে তিনি একাউন্ট খুলেছেন সে ব্যাংকের বুথ যদি বিমানবন্দরে থাকে, তাহলে তিনি ব্যাংকের বিমানবন্দরের বুথকে বলবেন যে, তোমার ব্যাংকের অমুক শাখাতে আমার একটা একাউন্ট আছে; আমার টাকাটা তুমি রিসিভ করে আমার ফরেন কারেন্সি একাউন্টে স্থানান্তর করে দাও।
“ব্যাংক তখন একটা ক্রস এক্সচেঞ্জ রেট ধরে রিয়েলের সাথে ডলারের কী সম্পর্ক সেটা জেনে, অনাবাসী বাংলাদেশির একাউন্টে জমা করে দেবে।”
বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় লেনদেন-২০০৯ গাইড লাইন অনুযায়ী, অনাবাসী বাংলাদেশিরা ফরেন কারেন্সি একাউন্টে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জমা রাখতে পারেন।