জিপি অ্যাকসেলেরেটরের তৃতীয় ব্যাচের যাত্রা শুরু

নতুন স্টার্টআপ ব্যাচের উদ্বোধন করল গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2017, 04:18 PM
Updated : 29 March 2017, 04:56 PM

বুধবার গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের তৃতীয় ব্যাচের চার মাসব্যাপী পথচলা শুরু হল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “গ্রামীণফোন দেশের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার একটি ভালো সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে এবং জিপি অ্যাকসেলারেটর চালুর ফলে সরকারের সাথে তাদের সহযোগিতা আরও বাড়বে।"

জিপি হাউজে অ্যাকসেলেরেটরের নতুন ব্যাচকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার বি ফারবার্গ বলেন, ‘ডিজিটাল বিশ্বে নিজেদের তুলে ধরার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর বাংলাদেশে তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার প্ল্যাটফর্ম। এ তরুণরাই সঠিক নির্দেশনায় দেশের উন্নয়নে পরবর্তী ধাপের মাধ্যম হতে পারে।’

গ্রামীণফোনের হেড অব ট্রান্সফরমেশন কাজী মাহবুব বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা আমাদের পরিবেশের সাথে আরও বেশি মানানসই সেবা দেখতে চাই। জিপি অ্যাকসেলেরেটর তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করছে। যা এ ধরনের সেবার উন্নয়নকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।”

জিপি অ্যাকসেলেরেটরের প্রধান মিনহাজ আনোয়ার বলেন,“এবারের ব্যাচে আমরা হার্ডওয়্যার, অগমেন্টেড রিয়ালিটি, ফিনটেক ও ডিজিটাল সমাধানের এক দারুণ সমন্বয় পেয়েছি। আমাদের প্রত্যশা, আমাদের সহায়তায় এ স্টার্টআপগুলো বাংলাদেশের কোটি মানুষের জীবন সহজ, নিরাপদ ও আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলবে।”

এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর আর খান বলেন, “আমরা পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের সহায়তায় জিপি অ্যাকসেলেরেটর এ মুহূর্তে দেশের অন্যতম অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচি যা আমাদের দেশের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে।”

৬শ’ আবেদনপত্রের মধ্যে থেকে কঠোর বাছাই প্রক্রিয়া, সরাসরি সাক্ষাৎকার এবং ভাবনা উপস্থাপন পর্বের পর উদ্বোধনী দিনে মনোনীত ছয়টি স্টার্টআপকে আমন্ত্রিত অতিথি ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় গ্রামীণফোন।  

এসডি এশিয়ার যৌথ সহযোগিতায় জিপি অ্যাকসেলেরেটর (জিপিএ) প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা দেশীয় প্রযুক্তি বিষয়ক স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করতে কাজ করছে। চার মাসব্যাপী কর্মসূচিতে স্টার্টআপগুলোকে কঠোর, তাৎক্ষণিক ও অত্যন্ত কার্যকরী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

স্টার্টআপগুলো ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক বিনিয়োগ হিসেবে ১১ লাখ টাকা, জিপি হাউজে কাজ করার সুযোগ এবং তাদের ব্যবসার পরিসীমা ও সময়কাল বৃদ্ধিতে প্রাসঙ্গিক শিল্পখাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের সুবিধা পাবে।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর উদ্যোগের তৃতীয় ব্যাচের স্টার্টআপগুলো হচ্ছে ক্রাউডওয়্যার,জলপাই ইলেকট্রনিক্স,ডক্টরকই ডট কম এবং ব্যাংককম্পেয়ারবিডি,মাইক্রোটেক, বাড়িকই।