পাঁচ দিনব্যাপী জাতীয় এসএমই মেলা শুরু

বিভিন্ন খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ‘জাতীয় এসএমই মেলা ২০১৭’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2017, 10:48 AM
Updated : 15 March 2017, 03:08 PM

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কেএম হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনীর বক্তব্যে এমএসই খাতকে এখনও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ বলে অভিহিত করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

“এখনো আমাদের দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ শিল্পই এসএমইর আওতাভুক্ত। এ খাতটি এখনো দেশের ৭০ শতাংশ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। মোট শিল্প কর্সংস্থানের ৮০-৮৫ শতাংশই সৃষ্টি করছে এসএমই।”

নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, “ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত ছয় হাজার নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তাদের মধ্যে এক হাজার ১২০ জনকে স্বল্পসুদে ৫৫ কোটি টাকার এসএমই ঋণ প্রদান করা হয়েছে।”

এখন থেকে যে এলাকায় যে কাঁচামাল সহজলভ্য, সেই এলাকায় সেই শিল্প স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।

পরে ২০১৬ সালে এসএমই উদ্যোক্তা ও ব্যবসা পরিকল্পনার জন্য সেরা সাতজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।

২০১৬ সালে বর্ষসেরার পুরস্কার যারা জিতেছেন তারা হচ্ছেন, মাইক্রো উদ্যোক্তা-নারী ক্যাটাগরিতে ‘রাজশাহী নকশী ঘর’র স্বত্বাধিকারী পারভীন আক্তার।

বর্ষসেরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা-পুরুষ ক্যাটাগরিতে ‘শিন ট্রেংডিংয়ের’ মালিক শহীদুল ইসলাম ফকির। বর্ষসেরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নারী ক্যাটাগরিতে ‘ওপাস সাইন’র মালিক উম্মে হাবিবা নীলা এবং বর্ষসেরা মাঝারি উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে ‘বিডি ক্রিয়েশন’র মালিক মো. বেলাল হোসেন।

অনুষ্ঠানে ২০১৬ সালের ব্যবসা পরিকল্পনায় আরও তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।

এদের মদ্যে প্রথম পুরস্কার জেতা ইয়াসির আরাফাত ও তার দল শিল্প বর্জ্য থেকে নির্মাণ শিল্পের উপাদান ‘ইকোজিপ’র পরিকল্পনা তৈরি করেন।

ডায়াবেটিস নির্মূলে সবুজ সমাধান হিসেবে ‘ডায়াহিল’ নামের একটি ওষধি গাছের বাগান করে দ্বিতীয় সেরা হয়েছেন জান্নাতুন নাঈমা ও তার দল।

পরিবেশ বান্ধব স্যানিটারি ন্যাপকিন সুরক্ষা তৈরি করে তৃতীয় সেরা হয়েছেন দেবজিৎ সাহা ও তার দল।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের মেলায় সারা দেশ থেকে ২০০টি এসএমই প্রতিষ্ঠান ২১৬টি স্টলে তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছেন।

এতে দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, হাল্কা প্রকৌশল শিল্প পণ্য, প্লাস্টিক ও সিনথেটিক, হস্তশিল্প এবং আইটি পণ্যসহ আরও অনেক ধরনের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

এবারের মেলায় ক্রেতা-বিক্রেতা ‘মিটিং বুথ’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও রক্তদান কর্মসূচি, মিডিয়া সেন্টার ও তথ্য কেন্দ্রের স্টলও রয়েছে।

আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনা টিকেটে মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন দর্শক ক্রেতারা।