বিটিআরসির নির্দেশনা অমান্য করায় ৪ অপারেটরকে নোটিশ

নিষ্ক্রিয় সিমের অব্যবহৃত ব্যালেন্স ও ডেটাবেইস কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশনা অমান্য করায় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকসহ চার মোবাইল অপারেটরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে টেলিযোগাযোগ  নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2017, 06:53 PM
Updated : 14 March 2017, 08:21 PM
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ রবি-এয়ারটেল, বাংলালিংক ও সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরারর পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, অব্যবহৃত মোবাইল নম্বর পুনরায় বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে নিষ্ক্রিয় সিমের  অব্যবহৃত ব্যালেন্স ও সিমের ডেটাবেইস  কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তারা দেয়নি। এ বিষয়ে পরপর দুইবার চিঠি দিলেও তারা এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেয়নি।

“এর ফলে অপারেটররা টেলিযোগাযোগ আইনের লংঘন করেছে এবং বিটিআরসি এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেবে।”

নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু গ্রামীণফোন গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২৫ লাখ সিমের অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্স ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং এর ডাটাবেইস বিটিআরসিতে জমা দেয়।

অব্যবহৃত মোবাইল নম্বর পুনরায় বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে এই সব সিমে থাকা অব্যবহৃত ব্যালেন্স (অর্থ)১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বলেছিল বিটিআরসি।

তবে নির্দেশনা না মানায় অন্যান্য অপারেটরদের চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি আরেকটি চিঠির মাধ্যমে কমিশনে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। পরপর দুটি চিঠি দিলেও অন্যান্য অপারেটরটা কোনো উত্তর দেয়নি।

বাকি অপারেটরদের পাঠানো চিঠিতে নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকা সিমের অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্সের সুস্পষ্ট ডাটাবেইস ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশনে জমার নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।

নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকা সোয়া কোটির মতো মোবাইল সিম পুনরায় বিক্রি করতে অপারেটরগুলো সুযোগ পাচ্ছে বলে গত ১৫ জানুয়ারি জানিয়েছিল বিটিআরসি।

এসব সিমের একটি অংশ ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় বা ব্লকড; অন্যগুলো সঠিকভাবে পুনঃনিবন্ধন না হওয়ায় ২০০৮ সালে যে সব সিম বন্ধ করা হয়েছিল, সেগুলো।

তবে বিটিআরসি কর্মকর্তারা বলে আসছেন,২০০৮ সাল থেকে সব অপারেটরের প্রায় তিন কোটি সিম বিভিন্ন কারণে ব্লকড হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত প্রায় দেড় কোটির বেশি সিম ব্লকড হয়েছে।

বিটিআরসির হিসাবে গত অক্টোবর মাস নাগাদ দেশে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা সিম রয়েছে ১২ কোটির বেশি। তার মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখই গ্রামীণফোনের।