বাড়তি সময়েও জমাট পাটপণ্য মেলা

সময় বাড়ানোর পর রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পাটপণ্য মেলার অনেক স্টলেই নতুন করে পণ্যের পসরা বসেছে।মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনাও বেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2017, 11:05 AM
Updated : 12 March 2017, 04:05 PM

রোববার সকাল ১১টায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, খোলা স্টলগুলোয় ঘুরে ঘুরে পছন্দের পণ্য দেখছেন দর্শনার্থীরা। অনেকেই কিনে নিচ্ছেন পাটের শাড়ি, পাঞ্জাবি, শো পিস, বিভিন্ন রকম ব্যাগ, ঘর সাজানোর সামগ্রী।

প্রথমবারের মতো উদযাপিত জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার দুই দিনের বহুমুখী পাটপণ্য মেলা শুরু হয়। উদ্বোধনের দিনই মেলা প্রয়োজনে শনিবার পর্যন্ত চালু রাখার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে শেষ দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের অব্যাহত চাপ বিবেচনায় নিয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মেলার সময় আরও দুই দিন বাড়ায় কর্তৃপক্ষ।

রোববার রংপুরের ‘স্বপ্ন কুটির’ এর বিক্রয়কর্মী মো. এনামুল হকের কথায় মেলে ক্রেতা দর্শনার্থীদের আগ্রহের চিত্র।

তিনি জানালেন নতুন করে সময় বাড়ানোর পর তারা কারখানা থেকে নতুন পণ্য নিয়ে আসার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

“আমাদের স্টলের অধিকাংশ মালামাল শেষ হয়ে গিয়েছিল। কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে স্টোর থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আসার জন্য।”

‘গ্রিন মিশন’ নামের একটি পাটকলের বিক্রয়কর্মী মোতাহার হোসেন ভূঁইয়া জানান, তাদের মূল পণ্য হচ্ছে পাটের ফেব্রিক্স। তারা মেলায় পণ্য বিক্রির চেয়ে স্পট অর্ডার নেওয়ার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সাড়াও মিলেছে ব্যাপক।

পাটের তৈরি কাগজ, গিফট পেপার, ডায়েরিসহ বেশ কিছু পণ্য নিয়ে মেলায় স্টল সাজানো ‘প্রকৃতি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীরা জানান, গত শুক্রবার তাদের বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকার পণ্য। প্রচারের জন্য অংশ নিয়ে এমন বেচাকেনা তাদেরকে আশান্বিত করেছে।

‘আফনানা জুটেক্সের’ বিক্রয়কর্মীরা জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে পাটের ফেব্রিক্স থেকে তৈরি পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ক্যাপ প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। পাটপণ্যে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় এমন অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে বলেও জানান তারা।

নরসিংদী থেকে আসা ‘নকশি বাংলা ইকো টেক্স’ এর এক পরিচালক জানান, তাদের স্টলে প্রতি গজ ১৮০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬শ টাকা মূল্যের কাপড় আছে।

সোমবার এই মেলা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনামূল্যে মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

এবারের মেলায় ৬১টি স্টলে ৯৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা নিয়ে এসেছে।