শনিবার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এসব শিক্ষার্থীর হাতে বিৃত্তিপত্র তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী দেশের আর্থিক খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শিক্ষায় অবদান রাখতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “জাতি গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিক্ষার প্রসার। বর্তমানে প্রথমিক পর্য়ায়ে ৯৯ শতাংশ বাচ্চা স্কুলে যাচ্ছে। তবে এখনও মাধ্যমিক পর্যায়ে আমরা এতোটা সফল হতে পারিনি।
“শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদানে সরকার আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে। বৃত্তির অর্থের পরিমাণ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো করতে পারিনি। সে হিসাবে এ ব্যাংকটি আমাদের চেয়ে বেশি এগিয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি আমাকে মুগ্ধ করেছে।”
এসময় শিক্ষা সম্প্রসারণে সরকাকে আরও সক্ষম করে তুলতে জনগণকে কর দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, “আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ৬ষ্ঠ বছর থেকেই এ বৃত্তি দেওয়া শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানে ১৮ হাজার ১৬১ জনের বৃত্তি চলমান রয়েছে।