প্রথমবারের মতো উদযাপিত ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে শুরু হওয়া জাতীয় পাটপণ্য প্রদর্শনীতে সাজানো হয়েছে বাহারি নকশার এই পণ্যের পসরা। পাটের কারুকাজ খচিত জামদানি পরে সকালে ওই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাটের এসব পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের প্রচণ্ড আগ্রহের কথা জানান বিভিন্ন স্টলের কর্মীরা।
ক্রেতাদের আশ্বস্ত করে মাহবুব বলেন, “আজকে প্রডাক্ট প্রায় শেষ। আপনারা চাহিদার কথা বলে যান। কালকে নিশ্চয় পাবেন। আর বেশি পণ্যের প্রয়োজন হলেও জানান, দু-চারদিন পরে পাবেন।”
এই চিত্র চোখে পড়ে অন্যান্য স্টলেও। একটি স্টলের সামনে কথা হয় ফ্যাশন ডিজাইনার প্রীতির সঙ্গে, পোশাকে পাটের ফেব্রিক্স যোগ করে বাজারে ছাড়েন তিনি।
পাশে ফ্যাশন হাউজ এফএমএস এর স্টলে সাজানো সারি সারি পাটের পোশাক দেখিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বাজার থেকে ৩০/৩৫ টাকা গজে কাপড় কিনে বিভিন্ন পোশাক তৈরি করি। তবে এর সঙ্গে পাটের ফেব্রিক্স যোগ করলে দারুণ নকশা হয়। তখন দামও পাওয়া যায় কয়েকগুণ বেশি। আজ যে ফেব্রিক্সগুলো কিনলাম এগুলো শাড়িতে বসাব। সৌখিন এসব শাড়ির দামও হবে অন্তত ১০ হাজার টাকা।”
চলতি অর্থ বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে ৬৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলার আয় হয়েছে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
পাটপণ্যের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাইফেয়ার স্টাইল ওয়ার এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম নাসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ইউরোপের বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করেন। তাদের ক্রেতাদের কাছে বিভিন্ন ডিজাইনের পাটের ব্যাগের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
আরেক ফ্যাশন হাউজ জারমার্টজের সিইও ইসমাত জেরিন খান বলেন, পাট পণ্যের প্রসার যেভাবে হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে কম দামে কাঁচা পাট রপ্তানি করার আর প্রয়োজন হবে না।
“পাট থেকে অনেক উচ্চমূল্যের পণ্য তৈরি করে দেশেই বিক্রি করা যায়-এ বিষয়টি এই মেলা থেকে আজ স্পষ্ট।”
আরও দুদিন এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে পারবেন নগরবাসী।