শাহ আবদুল করিম পরিষদের আয়োজনে প্রয়াত এ বাউলের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাউলের জন্মভূমি দিরাইয়ের উজানধলে আগামী ৩ মার্চ এই উৎসব শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শাহ আবদুল করিম লোক উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন তার একমাত্র ছেলে শাহ নূর জালাল।
এ উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করছে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির বেকারি পণ্যের ব্র্যান্ড অলটাইম। সহযোগিতায় থাকছে প্রাণ পটেটো ক্র্যাকার্স।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ নূর বলেন, “বাউল সম্রাট আবদুল করিম গ্রাম বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ, চাওয়া পাওয়া নিয়ে গান গাইতেন। তিনি দেড় হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। কিন্তু তার গানগুলো সংরক্ষিত না হওয়ায় এগুলো দিনে দিনে বিকৃত হচ্ছে। আমাদের পক্ষে এই কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছি।”
অলটাইম এর হেড অব মার্কেটিং মনিরুল ইসলাম বলেন, “বাউল শাহ আবদুল করিমের কর্মকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমরা এই উৎসবের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উৎসবের প্রথম দিন বাউলের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা ও গান পরিবেশন করবেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অতিথি শিল্পীরা। এছাড়া শেষ দিনে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরাও সঙ্গীত পরিবশেন করবেন।
বন্ধে মায়া লাগাইছে/পিরিতি শিখাইছে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না, কেন পিরিতি বাড়াইলিরে বন্ধু’র মতো অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা শাহ আবদুল করিম। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন।
প্রাণ পটেটো ক্র্যাকার্সের ব্র্যান্ড ম্যানেজার রাজিবুল ইসলাম লেনিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।