বুধবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষা খাতে আইসিটির সফল ব্যবহারের জন্য ইউনেস্কো এ পুরস্কার দিয়েছে।
সম্প্রতি ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে ‘ইউনেস্কো কিং হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা’ শীর্ষক এই পুরস্কার গ্রহণ করেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকশান্দ।
গ্রামীণফোন ও অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেডের সহায়তায় জাগো ফাউন্ডেশন বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১০টি অনলাইন স্কুল পরিচালনা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মধ্যে আইসিটির (ভিডিও কনফারেন্স) মাধ্যমে গুণগত মানের শিক্ষা দেওয়া এসব অনলাইন স্কুলের মূল উদ্দেশ্য।
এর পাশাপাশি জাগো-র প্রচলিত ধারার তিনটি স্কুলও রয়েছে, যেখানে দেশের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির শিশুরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গুণগত মানসম্মত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে সুশিক্ষিত ও দায়িত্বশীল সুনাগরিকে পরিণত হচ্ছে।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে জাগো ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের ভিতরে থাকা শিশুদেরকে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব- এই ধারণা থেকে শুরু হয় ‘অনলাইন স্কুল’ নামের নতুন একটি সম্ভাবনা। এ ধারণা বাস্তবায়নে অবকাঠামোগত সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে গ্রামীণফোন এবং অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড।
সেই সময় জাগো ফাউন্ডেশন পাঠ্যক্রম এবং কারিকুলাম গঠনে এগিয়ে যায়, পাশাপাশি স্পন্সর এ চাইল্ড প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাধারণ বাংলাদেশিরা এগিয়ে আসেন আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে।
একটি অনলাইন স্কুল দিয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে বর্তমানে ১০টি অনলাইন স্কুল রয়েছে, যেসব স্কুলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ১৫০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশু বিনামূল্যে শিক্ষা অর্জন করছে।
অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে ঢাকার দূরবর্তী একটি গ্রামের ক্লাস রুমে বসে থাকা শিশুরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকায় বসে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। অন্যদিকে সেই গ্রামের স্কুলে আরও দুইজন সহকারী শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করেন।