‘গ্রিন অফিস’ স্বীকৃতি পেল বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয়

মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ)’ -এর সম্মানজনক ‘গ্রিন অফিস’ স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2017, 02:48 PM
Updated : 20 Feb 2017, 02:48 PM

ঢাকায় অবস্থিত বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় ‘টাইগার্স ডেন’ দেশের প্রথম অফিস হিসেবে এই স্বীকৃতি পেল বলে অপারেটরটি সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়।

ডব্লিউডব্লিউএফ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বন সংরক্ষণ এবং পরিবেশের উপর মানুষের বিরূপ প্রভাব কমাতে কাজ করে। ‌‘গ্রিন অফিস’ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিবেশবান্ধব অফিস ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করার আওতায় একটি উদ্যোগ।

অনলাইনের মাধ্যমে অফিস কার্যকমে চালিয়ে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনায় ‘টাইগার্স ডেন’ সংস্থাটির গ্রিন অফিস স্বীকৃতি পায় বলে বাংলালিংকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গ্রাহকদের সেরা পণ্য এবং উচ্চতর সেবা দিতে বাংলালিংক সবসময় পরিবেশবান্ধব নীতি অবলম্বন করে আসছে। গ্রিন অফিস ব্যবস্থাপনা তারই একটি অংশ।

এটি কার্বনডাইঅক্সাইড নির্গমন কমানোর মধ্য দিয়ে বাংলালিংকের সম্পদ সমূহর প্রয়োগকে আরও দক্ষ করে তুলেছে এবং পরিবেশবান্ধব কর্মস্থল বজায় রেখেছে। গ্রিন অফিস প্রক্রিয়ার একটি অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ‘ওপেন অফিস’ পরিবেশ বজায় রেখে আসছে।

গত বছর ‘গোয়িং ডিজিটাল’ মূলমন্ত্র ঘোষণা করার পর থেকে বাংলালিংক তার ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াকে কাগজের ব্যবহার থেকে অনলাইনে রূপান্তর করেছে। কাগজবিহীন কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্যে এটি ২০১৬ সালে কাগজের ব্যবহার ৪৪% কমিয়ে এনেছে এবং ১৯% অপচয় রোধ করেছে।

রিসাইকেল অথবা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্টেশনারী দ্রব্যাদি ব্যবহার করার পাশাপাশি এটি একবার ব্যবহার করা যায়, এমন জিনিসের ব্যবহারও ৭৫% কমিয়ে এনেছে। এর দক্ষ বিদ্যুৎ এবং যানবাহন ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া রয়েছে।

বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, “এটি অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার যে, আমাদের পরিবেশবান্ধব অফিস নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে ডব্লিউডব্লিউএফ স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি আমাদের দারুণ উৎসাহিত করেছে, যা বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

ডব্লিউডব্লিউএফ-এর পরিবেশ মূল্যায়ন ব্যবস্থাপক নাজিফা বাট বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কার্বনডাইঅক্সাইড নির্গমন কমানো এবং পরিবেশবান্ধব কর্মস্থল নিশ্চিত করা। বাংলালিংক তা সঠিকভাবে বজায় রাখে এবং এর ফলে তা গ্রিন অফিসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। আমি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করতে চাই।”