একটি জার্মান পরামর্শক সংস্থার (ইউনি কনসাল্ট) মাধ্যমে ২৭১ একর ভূমির এই দ্বীপে সব ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এখন অবকাঠামো উন্নয়নে দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজা।
ট্যুরিজম পার্কে ঝুলন্ত ব্রিজ, রিসোর্ট, কেবল কার, ওসেনারিয়াম, ভাসমান রেস্তোরাঁ, ইকো-কটেজ, কনভেনশন সেন্টার, সুইমিং পুল, ফান লেক, একুয়া লেক, মাছ ধরার জেটি, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, শিশু পার্কসহ বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে বেজার প্রধান কার্যালয়ে ট্যুরিজম পার্কটি নির্মাণে দরপত্রের আহ্বানে সাড়া দেওয়া দেশ-বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিজিবির কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
পবন চৌধুরী বলেন, নাফ ট্যুরিজম পার্কটি হবে বাংলাদেশের প্রথম ট্যুরিজম পার্ক, যা বিনোদন জগতে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে এবং এখানে থাকবে ‘সুস্থ’ বিনোদনের সব ব্যবস্থা।
ট্যুরিজম পার্কটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান এবং পরোক্ষভাবে আরও প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও মনে করেন তিনি।
২০১৮ সালের মধ্যে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ এবং চলতি বছরেই ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হবে বলে অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন বেজার কর্মকর্তারা।