বিটিআরসির নির্দেশনা থাকলেও রোববারের সময়সীমার মধ্যে গ্রামীণফোন ছাড়া অন্য কোনো অপারেটর সিমের ডাটাবেইস বা অর্থ কমিশনে জমা দেয়নি।
অব্যবহৃত মোবাইল নম্বর পুনরায় বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে এই সব সিমে থাকা অব্যবহৃত ব্যালেন্স (অর্থ) ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বলেছিল বিটিআরসি।
বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রামীণফোন ছাড়া অন্য কোনো অপারেটর নিষ্ক্রিয় সিমের ডেটাবেইস বা অর্থ কমিশনে জমা দেয়নি। বাকি অপারেটরদের এজন্য আরও সাত দিন সময় দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
বিটিআরসির ঊর্ধবতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রামীণফোন ২৫ লাখ সিমের অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্স ৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং এর ডাটাবেইস জমা দিয়েছে।”
বাকি অপারেটরদের পাঠানো চিঠিতে নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকা সিমের অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্সের সুস্পস্ট ডাটাবেইস আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশনে জমার নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকা সোয়া কোটির মতো মোবাইল সিম পুনরায় বিক্রি করতে অপারেটরগুলো সুযোগ পাচ্ছে বলে গত ১৫ জানুয়ারি জানিয়েছিল বিটিআরসি।
এর একটি অংশ ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় বা ব্লকড; অন্যগুলো সঠিকভাবে পুনঃনিবন্ধন না হওয়ায় ২০০৮ সালে যে সব সিম বন্ধ করা হয়েছিল, সেগুলো।
যদিও বিটিআরসি কর্মকর্তারা বলে আসছেন, ২০০৮ থেকে সব অপারেটরের প্রায় ৩ কোটি সিম বিভিন্ন কারণে ব্লকড হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত প্রায় দেড় কোটির বেশি সিম ব্লকড হয়েছে।
বিটিআরসির হিসাবে গত অক্টোবর মাস নাগাদ দেশে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা সিম রয়েছে ১২ কোটির বেশি। তার মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখই গ্রামীণফোনের।