বাণিজ্য মেলায় শেষ সময়ের ব্যস্ততা

জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্টলকর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2017, 08:33 PM
Updated : 27 Jan 2017, 08:33 PM

সরু গলিতে অবস্থানের কারণে এতদিন দর্শনার্থীদের গোচরে না আসা স্টলগুলোতেও শুক্রবার বেচাকেনা হয়েছে খুব।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ রাজধানী ও এর আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। দুপুরের পর মেলায় ঢোকা কঠিন হয়ে পড়ে দর্শনার্থীদের জন্য।

এদিন মেলায় বেচাকেনার প্রবণতা বাড়লেও অনেক স্টলমালিককে দেখা গেছে গোমরা মুখে। অবশ্য ‘সারা মাসে মেলায় ভালো বেচাকেনা হয়েছে’ এমন মন্তব্যকারী স্টলমালিকের সংখ্যাই বেশি।

অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িপাতিল ও গৃহস্থালি পণ্যের একটি স্টলের কর্মী তোরাবুল বলেন, সারা মাসে তার দোকানে বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। তবে লাভ-ক্ষতির কথাটি মহাজন বলতে পারবেন।

“গত বছর একটু পাশে পড়েছিল স্টলটা। এবারে একেবারে ভিআইপি গেইটের একেবারে পাশে আমরা। তাই বেচাকেনার ব্যস্ততা ছিল বেশ।”

.

মেলায় গৃহস্থালি পণ্য, ব্লেজার ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দামে যে ছাড় চলছিল, শেষবেলায় এসে তা আরেকটু বেড়েছে।

কিছু কাপড়ের দোকানে তিনটি থ্রিপিস ১২০০ টাকা, তিনটি শাড়ি ৯০০টাকা, একটি নিলে ৫০০, দুইটি নিলে ৭০০- এ ধরনের অফার ছিল।

খেলনার দোকানের বিক্রেতা রায়হান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার আমরা যেই অবস্থানে পড়েছি, সেখানে দর্শনার্থী এসেছে কম। তাই বেচাকেনার অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিদিনের লাভে স্টাফ খরচও উঠবে না।”

দক্ষিণ পাশে কুষ্টিয়া ফেব্রিক্সের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, তাদের কোম্পানির নিজস্ব করাখানায় তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, বিছানার চাদর, পর্দা দিয়ে সাজানো হয়েছে স্টলটি। সারা মাসে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।

মেলায় মাঝারি আকারের একটি স্টলে ভাগ হয়ে একপাশে কাপড়ের দোকান ও অন্যপাশে শুকনো খাবারের দোকান নিয়ে বসেছেন মুরাদ হোসেন।

.

বেচাকেনায় সারা মাসই মন্দাভাব ছিল জানিয়ে ‍তিনি বলেন, ৫/৬ লাখ টাকা যে খরচ করলাম তা তোলা যাবে বলে মনে হয় না।

আব্বাস উদ্দিন নামের এক ব্লেজার বিক্রেতা বলেন, “মেলা শেষ হওয়ার আগে এটি শেষ শুক্রবার হওয়ায় বেচাকিনা বেশ হয়েছে। তবে এখন কথার দিকে মনোযোগ দিতে চাই না।”

‘ইরানিয়ান মেলামাইন’ নামে একটি বিদেশি কোম্পানির স্টলে বিক্রয়কর্মী রুহুল আমিন বলেন, ইরানের তৈরি মেলামাইনের দাম বাংলাদেশি মেলামাইনের চেয়ে একটু বেশি। তবুও মাসজুড়ে ভালো বেচাকেনা হয়েছে তাদের।