‘স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম’ তৈরি করছে সরকার: পলক

আইটি খাতের সম্ভাবনাময় নতুন উদ‌্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে সরকার ‘স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম’ তৈরির জন‌্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2017, 02:04 PM
Updated : 23 Jan 2017, 02:04 PM

ঢাকার কারওয়ানবাজারের জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার পার্কে সোমবার এ বিষয়ে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, পিরামিড কাঠামোর এই ইকোসিস্টেম হবে তিন স্তরের, যেখানে সবচেয়ে উপরে থাকবে উদ্ভাবকরা। সংখ‌্যায় কম হলেও আইটি শিল্পে তাদের বড় অবদান থাকবে।

এর পরের স্তরে থাকবে ‘এচিভাররা’, যারা আইটি বিষয়ে গ্র‌্যাজুয়েশন করে স্টার্ট-আপ কোম্পানির নির্বাহী হবেন। তাদের মেধার বিকাশেও সরকার সহযোগিতা দেবে।

“আর পিরামিডের সবার নিচের স্তরে থাকবে যারা আমাদের ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ অন্যান্য খাতে সংশ্লিষ্ট এবং এ খাতকে এগিয়ে নিতে ছোট ছোট উদ্যোগে জড়িত। এভাবেই দেশে একটি অনন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে আমরা কাজ করছি।”

‘ক্রিয়েটিং আ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো-সিস্টেম: গভার্নমেন্টস রোল’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আয়োজনের উদ্দেশ্য ব‌্যাখ‌্যা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শুনতে চাই- একটা ইনোভেশন কালচার তৈরি করতে সরকারের কি কি করণীয়। আমরা প্রাইভেট সেক্টরগুলোর কাছ থেকে জানতে চাই- তারা প্রবৃদ্ধির জন‌্য সরকারের কাছে কী পরিমাণ সুযোগ সুবিধা চান।”

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের স‌্যান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাহমুদ হুসাইন। তিনি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার বিভিন্ন দিক এবং তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

ড. হুসাইন বলেন, “আমাদের দেশে স্টার্টআপদের জন্য নতুন আইন করে তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাটের শর্ত সহজ করা উচিত। এছাড়া উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ সুবিধার বিষয়টি নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে।”

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নতুন উদ‌্যোক্তাদের যোগাযোগ যোগাযোগ ঘটানোর জটিলতা ‘এখনও কাটছে না’ মন্তব‌্য করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বিদেশে উদাহরণ না খুঁজে এ দেশের উপযোগী নতুন কোনো পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

স‌্যান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সিপিএ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের কনসালটেন্ট টিনা জাবিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসছে। তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় অবদান রাখবে বলে আশা করা হলেও মেধা পাচারের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

অন‌্যদের মধ‌্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জামিল আজহার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান ও সহজ ডট কমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির আলোচনায় অংশ নেন।