শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম প্রতি কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহে লিটার প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়াকেই এবারের দাম বাড়ানোর পেছনে কারণ বলছেন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এবং আদাবর বাজার ঘুরে প্রতি কেজি রসুন (বড়) ২০০ টাকায় এবং ছোট রসুন ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট কাঁচাবাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী জসিমউদ্দিন আহমেদ।
রসুনের দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শাকসবজি, মাছ-মাংসের দাম ওঠানামা করতে পারে, কিন্তু এখন সিজনের সময় পেঁয়াজ-রসুনের দাম বাড়ার তো যুক্তি দেখি না।”
ওই বাজারের বিক্রেতা মনির হোসেন এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে বড় রসুন বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকায়, ছোট রসুন ১৪৫-১৫০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের রসুনের আড়ৎদার তরিকুল ইসলাম বলেন, “দেশি রসুনের তুলনায় বড় রসুনের চাহিদা অনেক বেশি। বড় রসুন সবই চীন আর ইন্ডিয়া থেকে আসে। আমরা যদ্দুর শুনেছি, আন্তর্জাতিক বাজারে রসুনের দাম বেড়েছে।”
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজারের তেলের ডিলার খালেক অ্যান্ড সন্সের মালিক আব্দুল খালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত সপ্তাহে তেলের দাম বেড়েছে।
“আগে আমরা সয়াবিন তেল বিক্রি করতাম প্রতি লিটার ৯৭ টাকা, মুদি দোকানে সেই তেল ১০০ টাকায় বিক্রি হত। গত সপ্তাহ থেকে তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা করে বেড়েছে।”
বর্তমানে যেসব দোকানে লিটার প্রতি ১০০ টাকা করে তেল বিক্রি হচ্ছে সেগুলো পুরোনো চালানের বলে ভাষ্য এই তেল ডিলারের।
মাছ-মাংস, শাক সবজির বাজারে কোনো উল্লেখযোগ্য মূল্য পরিবর্তনের চিত্র দেখা যায় নি।