জানতে চাইলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শনার্থী তুহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অলিম্পিক বিস্কুটের একশ টাকার একটি প্যাকেজ কিনেছিলেন তিনি। বাজার মূল্যের চেয়ে ১৮ টাকা ছাড় পাওয়ার পাশাপাশি পেয়েছেন দ্বিতীয় তলায় মহাকাশ সম্পর্কিত একটি শো দেখার সুযোগ।
বিকালে ৫০ জন ক্রেতার একটি দল যখন অলিম্পিকের প্যাভিলিয়নের শো দেখছিলেন, তখন বাইরে টিকিট হাতে অপেক্ষা করছিলেন প্রায় শ খানেক নারী পুরুষ।
কোম্পানির কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রধান জানান, ‘প্ল্যানেটারিয়াম শো’ বাণিজ্য মেলায় তাদের ক্রেতাদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। অন্তত ১০০ টাকার কেনাকাটা করলে এর টিকিট দিচ্ছেন তারা।
মেলার শুরু থেকে প্রতিদিনই ভালো বেচাকেনা হচ্ছে জানিয়ে রবিউল বলেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়েছে।
অলিম্পিক বিস্কুট ছাড়াও নাবিস্কো, কোকোলা, বাজারে নতুন আসা নোয়া ফুডসহ অন্যান্য দেশীয় কোম্পানিগুলো বিস্কুট, লুডুলস, আচার, জেলি, সস, কেক, চানাচুরসহ অন্যান্য শুকনো খাবারের ওপর বিশেষ মূল্যছাড় দিয়েছে। ফলে মেলার দর্শনার্থীরা পরিকল্পিত কেনা কাটার বাইরে টিনের প্যাকেটজাত বড় বিস্কুটের প্যাকেট কিংবা শপিং ব্যাগে মোড়ানো বিস্কুটের প্যাকেজ কিনছেন।
কোকোলার প্যাভিলিয়নের এক পাশেই দর্শনার্থীদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে নুডুলস।
মেলার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাণের খাদ্যপণ্যের স্টলগুলোতেও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে মূল্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
প্রাণের চকলেট, লবাং, মাঠা, ললিপপ, মিল্কসহ অন্যান্য পণ্যে মূল্যছাড় ও ‘দুইটি কিনলে একটি ফ্রি’সহ বিভিন্ন অফার পাচ্ছেন ক্রেতারা।
প্রায় দুই বছর ধরে বাজারে আসা নোয়া ফুড প্রডাক্টের মার্কেটিং ম্যানেজার আবু সাঈদ জানান, বাজারে পরিচিতি অর্জন করাই এবারের মেলায় অংশ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য। ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন তারা।