ব্রাজিলে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ

ব্রাজিলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2016, 12:06 PM
Updated : 7 Dec 2016, 12:06 PM

সচিবালয়ে বুধবার ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যাম্পোস দ্য নব্রেগার সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ব্রাজিলে কাস্টমস ডিউটি খুব বেশি। আমরা অনুরোধ করেছি- ডাব্লিউটিওর সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশকে ডিউটি ফি, কোটা ফ্রি মার্কেট এক্সসেস দেওয়ার জন্য এবং আলোচনা সাপেক্ষো ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে পারি কি না সে বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছি, এ ব্যাপারে আমরা আমাদের কার্যক্রম শুরু করব।”

তোফায়েল আরও বলেন, “ব্রাজিলের সঙ্গে এই মুহূর্তে এক বিলিয়নের মত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য। আমাদের রপ্তানি হয় ১৩৫ মিলিয়ন ডলার, আমরা ব্রাজিল থেকে ৯৫২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছি।”

২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চিলিতে বাংলাদেশের সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা জানিয়ে তোফায়েল বলেন, “আমরা আশা করব ব্রাজিলের কাছ থেকেও সেটা পাব।”

চিনি, গমসহ বিভিন্ন পণ্য ব্রাজিল থেকে আমদানির তথ্য দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের আমদানিটা বেশি, রপ্তানি কম। বাণিজ্যটা ব্রাজিলের দিকে, সেটি আমরা কাছাকাছি যেতে না পারলেও যদি শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয় অথবা ডিউটিটা কমানো হয় তাহলে আমরা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারব।”

গতবছর ব্রাজিলে এক মেলায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা এখন পরিকল্পনা করেছি সে দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের সংযোগ স্থাপনের জন্য আমি নিজে সচিবকে সঙ্গে নিয়ে আগামী মার্চ মাসে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও চিলি আমাগী সফরে যাব। আশা করি এর মধ্যে দিয়ে সেসব দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে।

“ডব্লিউটিওর ডিজি ব্রাজিলের সন্তান, তিনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। রাষ্ট্রদূত অনুরোধ করেছেন তাকে পুনরায় নির্বাচিত করতে সমর্থন দিতে। এ বিষয়ে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব।”

ট্রেড অ্যান্ড ইনভেসমেন্ট সামিটে গিয়ে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়ে তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশ যেন মানব সম্পদ রপ্তানি করতে পারে সে ব্যাপারে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে।

“প্রায় দুই লাখের মত বাংলাদেশির জন্য (যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে) তাদের নতুন করে তারা সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন, এই প্রক্রিয়া তারা শুরু করতে যাচ্ছে,” বলেন তোফায়েল আহমেদ।