বাজারে আমন এলেও দাম কমেনি চালের

আমন মওসুমের নতুন চালের সরবরাহ আসা শুরু করলেও ঢাকার বাজারে চালের দামের উপর তার কোনো প্রভাব এখনো পড়েনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2016, 03:23 PM
Updated : 2 Dec 2016, 03:26 PM

রাজধানীর চালের পাইকাররা বলছেন, বাজারে মৌসুমের সরু চাল আসা শুরু করায় সপ্তাহখানেকের মধ্যে নাজিরশাইলের দাম কিছুটা কমলেও মোটা চালের দামে সহসা তেমন একটা কমছে না।

ঢাকার বাজারে এখন যে দামে চাল বিক্রি হচ্ছে একমাস আগেও সে দামই ছিল। এর মধ্যে সরকারি মজুতের জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে আমন চাল সংগ্রহ শুরু হলেও তারও তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বাজারে।

শুক্রবার সরেজমিনে ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিকন চালের মধ্যে নাজিরশাইল মানভেদে কেজিপ্রতি ৫২ টাকা থেকে ৬০ টাকা ও মিনিকেট ৪২ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর মোটা চালের মধ্যে বিআর ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা থেকে ৪৫ টাকা প্রতি কেজি; গুটি, স্বর্ণা ও পারিজাত বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকা থেকে ৩৬ টাকা কেজি।

বাবুবাজারের পাইকার মান্নান রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শীতে আমন মৌসুমে নতুন চাল আসায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নাজিরশাইল চালের দাম কমে আগের ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় ফিরে আসবে।

“তবে আপাতত মিনিকেট ও বিআর ২৮ চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর জন্য আগামী বৈশাখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”

বাবুবাজারের বদরউদ্দিন রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল আজিজ, সুফিয়া রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী খোরশেদ আলম ও আল আমিন রাইস এজেন্সির মালিক মো. জাহাঙ্গীরও একই কথা বললেন।

কোনো কোনো আড়ৎদার চালের দাম না কমার পেছনে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ থাকার অজুহাত দেখালেন।

বিসমিল্লাহ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগে ভারত থেকে চাল আসত, তাই চালের দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে বাজারে ভারতের চাল নেই। তাই চালের দামও কমছে না।”

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য সচিব হেদায়েতউল্লাহ মামুন এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমতপোষণ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে চালের মজুদ রয়েছে; তাই আমদানিজনিত কারণে চালের দাম বাড়ছে- বিষয়টি এমন নয়।”

চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেটে চাল আমদানির ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ এবং তার সঙ্গে ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়। শুল্ক বাড়ার ফলে অনেক ব্যবসায়ী চাল আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

চাল আমদানিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব বলেন, “আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি আমদানিকারকরা তাদের কোনো সমস্যার কথা জানান, অবশ্যই তা বিবেচনা করা হবে।”