সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় দুদিনের এই উদ্যোগে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরা নিয়ে এসেছেন তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, যেগুলো ক্ষতিকারক রাসায়নিকমুক্ত সম্পূর্ণ জৈবিক উপায়ে তৈরি বলে তাদের দাবি।
রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির মাঠে শুক্রবার শুরু হওয়া কৃষিপণ্যের দুদিনের মেলায় সবজি নিয়ে এসেছেন নড়াইলের কৃষক শাহিনুজ্জমান।
ভোলা থেকে আসা কৃষক আব্দুল মতিন ও আনোয়ার হোসেন জানালেন, তারা ক্ষতিকারক কীটনাশকের পরিবর্তে কম খরচে ‘বায়োনিম’ ও ‘সেক্স ফেরোমন ফাঁদ’ ব্যবহার করে জৈবিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে থাকেন।
মধ্যস্থতাকারীদের কাছে লোকসান দিয়ে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে হয় জানিয়ে আব্দুল মতিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওদের কাছে আমরা কেজিতে ১৫-২০ টাকা কম পাই। এখানে (প্রদর্শনী) ন্যায্য দাম পাচ্ছি।”
প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্যে উন্মুক্ত থাকবে, যা চলবে শনিবার পর্যন্ত।
মেলায় উপস্থিত কৃষকরা বলছেন, তাদের উৎপাদিত পণ্যে দেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও ফরমালিন নেই। সহনীয় মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে তারা সবজি উৎপাদন করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মিল্টন বলেন, “আমরা জাপান থেকে সবজির বীজ এনে থাকি। আমাদের লাউ ও সিম উচ্চ ফলনশীল। এক বোঁটাতে পাঁচটা লাউ হয় এই বীজে।
“আমরা লাভের চিন্তা করছি না, শুধুমাত্র প্রচারের জন্যেই এই মেলায় আসা।”
আরেক ক্রেতা ফায়েজুর আবেদীন বললেন, “এখানে দাম একটু বেশি। কিন্তু এগুলো যেহেতু অর্গানিক উপায়ে উৎপাদিত হচ্ছে, তাই দাম একটু বেশি হবেই এবং দিতেও সমস্যা নেই।”
সকালের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমেদ।
কৃষিপণ্য সংরক্ষণে প্যাকেজিং ও কম দামে মানসম্মত পণ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে উৎপাদক-ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগের উপর জোর দেন তিনি।
সংস্থাটি তিন বছর ধরে বাংলাদেশের প্রায় ১০ হাজার কৃষকদের নিয়ে কৃষিপণ্য প্রদর্শনী, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ বিতরণসহ নানা ধরনের প্রকল্পে কাজ করে যাচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।