বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজিব শেঠি এ তথ্য তুলে ধরেন।
পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের ২০১৬ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন সোমবারই প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তৃতীয় প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫০ লাখ, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম।
“বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ফলে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যার মধ্যে নিবন্ধনবিহীন কোনো গ্রাহক নেই।”
তবে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ডাটা গ্রাহকের (ইটারনেট গ্রাহক) সংখ্যা আগের চেয়ে ১১ লাখ বেড়ে ২ কোটি ২৯ লাখে উঠেছে।
এছাড়া জুলাই শেষে মোবাইল সিমের বাজারে গ্রামীণ ফোনের শেয়ার বেড়ে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে উঠেছে।
রাজীব শেঠি বলেন, “আমাদের আয়ের প্রবৃদ্ধি গতিশীল হওয়ায় এই প্রান্তিক খুব ভালো কেটেছে। দৈনিক রাজস্ব প্রদানকারী ভিত্তির উন্নয়ন এবং ব্যবহার বৃদ্ধি এই প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি। ডাটা ও ভয়েস উভয় ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।
“নতুন গ্রাহক বৃদ্ধির গতিও বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
নতুন গ্রাহক ও সেবা থেকে রাজস্ব আয় (ইন্টারকানেকশন বাদে) আগের বছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
একই সময়ে ডাটা থেকে রাজস্ব আয় বেড়েছ ৭২ দশমিক ১ শতাংশ; ভয়েস থেকে রাজস্ব আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
আয়কর দেওয়ার তৃতীয় প্রান্তিকে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ মার্জিনসহ আয় হয়েছে ৬৪০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
গ্রামীণফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, “গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে তার ইতিহাসের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে এবং দুই অংকের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। উচ্চতর রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রিত পরিচলন ব্যয়ের মাধ্যমে আমরা এই সফলতা অর্জন করেছি।”
জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে উচ্চ ভয়েস ও ডাটা চাহিদা পূরণে ২জি ও ৩জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ২২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন।
এই প্রান্তিকে গ্রামীণফোন কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে সরকারকে একহাজার ৩৮০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট রাজস্ব আয়ের ৪৬ দশমিক ৮শতাংশ।