অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার: আমু

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2016, 05:09 PM
Updated : 24 Sept 2016, 05:09 PM

শনিবার রাজধানীতে এক সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রসারের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন করে যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলোতে কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে।

পচনশীল কৃষিপণ্যের সংরক্ষণে হিমাগার তৈরিসহ অন্যান্য কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬: বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই সেমিনার হয় মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলানায়তনে।

সেমিনারের বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলোকে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করা সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

“চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। তারা ১৮ কন্টেইনার যন্ত্রপাতি ও উপকরণ এনেছে, যেগুলো সরকারের দেওয়া ‘স্পেসিফিকেশনের’ সঙ্গে মেলেনি। এ কারণে তা ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সাভারে ইতোমধ্যে বড় বড় ৬০টি ট্যানারির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়েছে জানিয়ে আমু বলেন, “চলতি বছরের মধ্যেই সব ট্যানারিগুলোকে সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”

শিল্পমন্ত্রী বলেন, টেকসই শিল্পখাত বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে সরকার জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬ ঘোষণা করেছে। সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত এ নীতি শিল্পখাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

“এ নীতি ঘোষণা করা হলেও শিল্পায়নের স্বার্থে এতে নতুন কিছু সংযোজনের প্রয়োজন হলে সরকার এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।”

শিল্পখাতে গতি আনতে নতুন শিল্পনীতির আলোকে সম্ভাবনাময় শিল্পগুলোতে ক্লাস্টারের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি প্রযুক্তি স্থানান্তরের কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে ওষুধ, চামড়া, হালকা প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক, প্ল্যাস্টিক, কেমিক্যালসহ উদীয়মান শিল্পখাতগুলোর উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

ডিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।

এতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী সদস্য নাভাস চন্দ্র মণ্ডল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইয়াসমিন সুলতানা, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক আশিকুর রহমান, নারী শিল্প উদ্যোক্তা কাজী মুন্নি, ডিসিসিআইর সাবেক পরিচালক খায়রুল মজিদ এবং খন্দকার শহীদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।