কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপন করল ইডটকো

দেশের টেলিযোগাযোগ টাওয়ার স্থাপনের ইতিহাসে প্রথম কার্বন ফাইবার টাওয়ার স্থাপন করার দাবি করেছে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান ‘ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড’ (ইডটকো বাংলাদেশ)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2016, 01:43 PM
Updated : 24 Sept 2016, 01:43 PM

শনিবার এই দাবি করে ইডটকো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি টাওয়ারটি সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার শ্যামলী টেকনিক্যাল মোড়ের একটি ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, নতুন এ উদ্ভাবনী টাওয়ার প্রথাগত স্টিলের টাওয়ারের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম ওজনের। প্রয়োজন অনুসারে টাওয়ারটি প্রসারণ বা সঙ্কোচন করা সম্ভব হওয়ায় ভবনের ছাদে প্রতিস্থাপন করা সহজ।

ইডটকো বলছে, প্রথাগত টাওয়ারের চেয়ে এ টাওয়ারের অবকাঠামো ব্যয় সাশ্রয়ী, টেকসই এবং কম ওজনের হওয়ার কারণে ভবনের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে না। এতে করে ভবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে।

উদ্ভাবনী উপকরণ ব্যবহার করে উচ্চ কার্যক্ষমতা ও স্থায়িত্ব সম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত ইডটকো পরিচালিত গবেষণা অগ্রগতির ফলাফল এই কার্বন ফাইবার টাওয়ার বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

ইডটকো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যারিল সিনাপ্পা বলেন, “ভবনের ছাদে কার্বন ফাইবার অবকাঠামো স্থাপন ভবিষ্যতে আরো উদ্ভাবনী টাওয়ার নির্মাণের পথকে গতিশীল করবে, যা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ-রূপকল্প ২০২১ বিনির্মাণে অবদান রাখবে।”

ইডটকো জানায়, প্রতিকূল আবহাওয়ায়, বিশেষ করে প্রবল বায়ু প্রবাহের সময়ও এ কাঠামোর কোনো ক্ষতি হয় না। ভিন্নধর্মী ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশেষত, বাংলাদেশের মতো ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় এ ধরনের টাওয়ার খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়া সহজে ক্ষয় হয় না বলে স্থায়িত্ব বেশি, যা টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমায়।

এসব বৈশিষ্টের কারণে এটি অপারেটরের টোটাল কস্ট অব ওনারশিপ (টিসিও) ২০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সময়ের ভিত্তিতে টিসিও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ইডটকোর।

কম স্টিলের ব্যবহার এবং এটি তৈরিতে কম কার্বন নিঃসরণ (প্রায় ৪০ শতাংশ কম) হওয়ায় সব মিলিয়ে কার্বন ফাইবার অবকাঠামো যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধব।

ইডটকো গ্রুপের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ এশিয়ার প্রথম আঞ্চলিক টাওয়ার সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের বাজারে ১ দশমিক ৫ অনুপাতে কো-লোকেশনসহ ইডটকোর টাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার আটশত।