দুই দশকে বিমানে চীনের বিনিয়োগ ট্রিলিয়ন ডলার ছোঁবে

আকাশপথে ভ্রমণে বাড়তে থাকা চাহিদা বিবেচনা করে চীনা সংস্থাগুলো আগামী দুই দশকে একলাখ কোটি ডলারের এয়ারক্রাফট কিনবে বলে আশা করছে বোয়িং।  

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2016, 05:50 PM
Updated : 13 Sept 2016, 06:21 PM

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষ এই এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বোয়িং কমার্শিয়াল এয়ারপ্লেনস বিভাগের বিপণন কর্মকর্তা র‍্যানডি টিনসেথ বলেন, চীনের বিমান যাত্রীর সংখ্যা আগামী ২০ বছরে টানা ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বাড়বে। তাই বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো মোট ছয় হাজার ৮১০টি বিমান কিনবে।

“ফলে দেশটি হয়ে উঠবে বিশ্বের ‘প্রথম এক ট্রিলিয়ন ডলারের বিমান পরিবহন সংস্থার বাজার’।”

বোয়িংয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, “চীনে ক্রমশ বাড়তে থাকা মধ্যবিত্তের সংখ্যা এবং নতুন ভিসা নীতির কারণে সেখানে দীর্ঘ মেয়াদে বিমানের বাজার বেশ প্রসারিত হবে বলেই আশা করছি আমরা।”     

বোয়িংয়ের মতে, এই ২০ বছরে চীনের কেনা মোট বিমানের তিন-চতুর্থাংশ হবে ছোট বিমান, যেগুলোতে মূলত ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা চড়েন। ‘সিঙ্গেল-আইল’ বা আসনের সারির মাঝে একক পথ বিশিষ্ট এসব এয়ারক্রাফট সাধারণত ৯০ থেকে ২২০ জন বহন করতে পারে।

পাশাপাশি নতুন আরও একহাজার ৫৬০টি বড় বিমানও ওই একই সময়ে চীনা বহরে যোগ হবে বলে মনে করছে বোয়িং। এর উদাহরণ হিসেবে বোয়িংয়ের ৭৪৭ ড্রিম লাইনার এবং ঐতিহ্যবাহী ৭৭৭ মডেলের কথা বলেছে কোম্পানিটি।

চীনা বিমান শিল্পের উন্নয়ন ও অবকাঠামো তৈরিতে বোয়িংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে কোম্পানিটি।

আগামি দুই দশকে চীনের বিমান সংস্থাগুলো ৯৫ হাজার কোটি ডলার খরচ করবে বলে ২০১৫ সালে বোয়িংয়ের পূর্বাভাস ছিল।