এছাড়া বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ার কারণে গ্রাহক বৃদ্ধির হার কমে গেলেও রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা (২ কোটি ৭৪ লাখ) অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবারদ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) আর্থিক বিবরণ নিয়ে রবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের কারণে বাড়তি অবচয় হওয়ায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির মোট ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ৪২ লাখ।
অবচয়কে বিবেচনায় না আনলে ২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফার পরিমাণ হত ৯৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
৩.৫জি নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ এবং ২.৫জি নেটওয়ার্কের ভয়েস ও ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে বলে জানায় রবি।
২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মূলধনী ব্যয়-ভিত্তিক বিনিয়োগ ৫৬০ কোটি টাকাসহ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবির মোট মূলধনী ব্যয়-ভিত্তিক বিনিয়োগের পরিমাণ ১৭ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ৮ হাজার ৭০০টি’রও অধিক সাইট নিয়ে বিস্তৃত রবি’র নেটওয়ার্ক যার মধ্যে ৩.৫জি সাইটের সংখ্যা ৪ হাজার ৬০০টি’রও বেশি।
রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সুপুন বীরা সিংহে বলেন, “২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমাদের রাজস্ব স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বায়োমেট্রিক সিম পুনঃনিবন্ধনের পদক্ষেপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে।
“এরপরও গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা ২.৫জিবা ৩.৫জি নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ও আধুনিকায়নে ক্রমাগত বিনিয়োগ করে চলেছি।”
২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ৩১০ কোটি টাকা যা মোট রাজস্বের ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ।