সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান।
তারানা হালিম বলেন, “গত জুন মাস থেকে কলড্রপে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও অপারেটররা তা বাস্তবায়ন করেনি। কলড্রপে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারেটরদের তাগাদা দেওয়া হয়েছে।”
অপারেটররা জানিয়েছে, তারা আইটিইউ নির্ধারিত মান অনুসারে কাজ করছে।
কলড্রপ এর বেশি হলে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান তারানা হালিম।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও আইটিইউ নির্ধারিত মান অনুযায়ী, কলড্রপের হার ৩ শতাংশের কম হলে তা হবে মানসম্পন্ন সেবা।
গত জানুয়ারি মাসে মোবাইল ফোনে প্রতি কলড্রপে এক মিনিট করে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
জুন মাস থেকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা ছিল।
এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জালিয়াতি করে নিবন্ধিত ভুয়া সিম বাজারে পাওয়া গেলে অপারেটরদের সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানা এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
২০১২ সালে প্রি-একটিভ সিম (আগে থেকেই চালু) বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তা ধরা পড়লে সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে তা কার্যকর হয়নি।
এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৪ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত রয়েছে বলেও জানান তারানা হালিম।