অনলাইনে বিকিকিনি গ্রামে নেবে ‘ই-শপ’

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সুবিধা গ্রামের মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল সরকারের ‘ই-শপ’ কর্মসূচি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2016, 08:26 AM
Updated : 31 July 2016, 08:26 AM

এর আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় একটি করে ই-শপ খোলা হবে, তৈরি হবে স্থানীয় উদ্যোক্তা ও তাদের পণ্যের তালিকা। এসব ই-শপ যুক্ত থাকবে একটি কেদ্রীয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সঙ্গে, যা কাজ করবে পণ্য কেনাবেচার ওয়েবসাইটের মত।

ফলে দেশের এক অঞ্চলের উদ্যোক্তা মধ্যসত্ত্বভোগীদের এড়িয়ে সরাসরি অন্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীর কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।

রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলনে কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, “ই-শপ একটি যুগান্তকারী ধারণা। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের স্বল্প আয়ের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কাঙ্ক্ষিত আয়ের পথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।”

পলক আশা করছেন, ই-শপ গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

“কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা , স্বল্প প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী ও বাংলাদেশের পল্লী জনগোষ্ঠী অপেক্ষাকৃত উন্নত অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মুনাফা সৃষ্টিতে এবং দেশজ শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় এই পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

এই উদ্যেগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কোনো ধরনের প্রতারণা ছাড়া ই-শপের মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে চাই। মধ্যস্বত্ত্বভোগী বাদ দিয়ে উৎপাদকের সাথে ভোক্তার সরাসরি যোগাযোগ করতে দেওয়া হবে ই-শপে।”

এ কর্মসূচির আওতায় এক হাজার উদ্যোক্তাকে ই-কমার্স বিষয়ে (ই-শপ পরিচালনার) প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।

জাতিসংঘের ই-গভার্নমেন্ট উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ২৪ ধাপ এগিয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, “২০১৪ সালে এ সূচকে বাংলাদেশ ১৪৮তম স্থানে ছিল, ২০১৬ সালে এ অবস্থান পৌঁছেছে ১২৪ নম্বর স্থানে।”

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘ই-শপ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে ফিউচার সলিউশনস ফর বিজনেস (এফএসবি)।

এফএসবির ব্যবস্থপনা পরিচালক সাদেকা হাসান জানান, এ কর্মসূচির আওতায় কেদ্রীয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ৬৪টি জেলার সব পণ্য ও সেবা কার্যক্রম দেখানোর ব্যবস্থা হবে। অনলাইনে পণ্য কেনা ও মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা রাখা হবে সেখানে।

আগামী ডিসেম্বর থেকে এ কর্মসূচির আওতায় গ্রাহকদের সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সাদেকা হাসান।

অন্যদের মধ্যে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস ও কর্মসূচি পরিচালক আক্তার হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।