ভিওআইপি: সবচেয়ে বেশি জব্দ টেলিটকের সিম

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহারের কারণে জব্দ সিমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিম টেলিটকের।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2016, 02:18 PM
Updated : 21 July 2016, 02:18 PM

গত এক বছরে রাষ্ট্র মালিকাধীন মোবাইল অপারেটরটির ১০ হাজার ৮০৫টি সিম জব্দ করা হয়েছে। সব অপারেটর মিলিয়ে জব্দ সিমের সংখ্যা ১৮ হাজার।

বৃহস্পতিবার সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিম। তার অনুপস্থিতিতে সংসদে প্রশ্নের জবাব দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সংসদে জানানো হয়, গত এক বছরে ভিওআইপিবিরোধী ৩৩টি অভিযান চালিয়ে এই সিমগুলো জব্দ করা হয়।

জব্দ সিমগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪ হাজার ৯৫৬টি, এয়ারটেলের ৬ হাজার ৩৬৩টি, রবির ৬ হাজার ৯২৪টি, বাংলালিংকের ১ হাজার ৯১টি। সিটিসেলের ৪টি ও  পিএসটিএন অপারেটর র‌্যাংকসটেলের ৪টি রিম জব্দ করা হয়।

ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৬ বছরে ২৪৭টি ‍মামলায় ৯টি প্রতিষ্ঠান ও ৩৫৪ জন ব্যক্তিকে আইনের আওয়তায় আনা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

এক নম্বরে সব জরুরি সেবা

এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ‘১০৫’ ও ‘২০৪১’ নম্বরে কল করে সব জরুরি নাগরিক সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার।

তিনি বলেন, “আধুনিক দেশগুলোর নাগরিক হেল্পসেন্টার পর্যবেক্ষণ করে একটি নম্বরে যাতে সব জরুরি নাগরিক সেবা পাওয়া যায় সেরকম একটি হেল্প সেন্টার করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। বিটিসিএল থেকে ১০৫ ও ২০৪১ এ দুটি নম্বর পাওয়া গেছে।”

কল করার পাশাপালি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, মেসেজিংয়ের মাধ্যমেও হেল্পসেন্টার থেকে সেবার পাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে বলেও জানান পলক।

কলড্রপ নিয়ে এক প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশে কলড্রপের পরিমাণ সাধারণত গ্রহণযোগ্য মাত্রার মধ্যেই থাকে। তবে সাম্প্রতিককালে গ্রাহক সংখ্যা ও কল ভলিউম বেড়ে যাওয়ায় কখনও কখনও গ্রাহকরা ভোগান্তির স্বীকার হয়ে থাকেন।

“লক্ষ্য করা যায়, কোনো কোনো বিল্ডিংয়ের কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় বিশেষ করে লিফটের ভিতরে কলড্রপের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। কখনও কখনও এমনকি মোবাইল হ্যান্ডসেটের ত্রুটির জন্য কলড্রপ হতে পারে। এসব বিবেচনা করে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) কর্তৃক সারা বিশ্বে দুই থেকে তিন শতাংশ কল ড্রপ গ্রহণযোগ্য মাত্রা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।”

মোবাইলে বিজ্ঞাপন প্রচার ও ‘অদ্ভুত ধরনের এসএমএস’ বন্ধের ব্যবস্থা প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্রাহকদের ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মোবাইলে সব ধরনের বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত এসএমএস না পাঠানোর বিষয়ে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।