বাংলাদেশের সঙ্গে থাকছে অ্যাকর্ডভুক্ত পোশাক ক্রেতারাও

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরও বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনা ও কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ চালিয়ের যাওয়ার কথা বলেছে বিদেশি ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2016, 07:26 PM
Updated : 20 July 2016, 07:26 PM

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার ভবন ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে এই ক্রেতা জোটের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েসের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এখবর জানানো হয়েছে।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে ১১০০ এর বেশি পোশাক নিহতের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুরু করে ক্রেতা জোট অ্যাকর্ডে ইনডিটেক্স ও এইচঅ্যান্ডএমসহ দুই শতাধিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ইউরোপের।

ইতোমধ্যে এই জোট বাংলাদেশের ১৬০০ কারখানার প্রায় ৬৫ ভাগ নিরাপত্তা সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করেছে বলে রব ওয়েসের বরাত দিয়ে জানায় জানায় রয়টার্স।

রব বলেন, “অ্যাকর্ড যে কাজ (বাংলাদেশে) করছে তা অন্য কোনো দেশে করার নয়; যেখানে ক্রেতারা এখানকার মতো সেফটি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিশ্চিত হতে পারে।”

“অনেক ব্র্যান্ডের জন্য, বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ভালো (তৈরি পোশাক) সরবরাহের ভিত্তি এবং ... এখানে তাদের যা (উৎপাদন) আছে, তা পরিমাণ ও গুণগতভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা এখনও তাদের রয়েছে।”

এর আগে রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাটে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের  আরেক ক্রেতাজোট অ্যালায়েন্সও এদেশ থেকে পণ্য কেনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানায়।

গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হন, যাদের অনেকেই তৈরি পোশাকের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।

ওই ঘটনার পর পোশাক বিক্রেতা ব্র্যান্ড ইউনিক্লোর স্বত্ত্বাধিকারী জাপানের ফাস্ট রিটেইলিং কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের সব ধরনের ব্যবসায়িক ভ্রমণ স্থগিত করে বলে খবর দেয় রয়টার্স।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে তাদের নাগরিকদের জন্য নতুন ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে বলেছে,  বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।

গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ঢাকা মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে যুক্ত ছয়জনসহ সাত জাপানি নাগরিক নিহত হলে দু্ই দেশের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে দেশটির সাহায্য সংস্থা জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা গত ৬ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমরা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ।”