ঢাকার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে মঙ্গলবার হওয়া অভিষেক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ নতুন ও সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। গত কয়েক বছরে বেসিসের কাজ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বেসিসের বিদায়ী সভাপতি শামীম আহসান।
বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদ, বেসিস নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ডকে তাদের অবদানের জন্য শুভেচ্ছা ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা। এরপর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদকে শপথ পাঠ করান বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ।
বিদায়ী সভাপতি শামীম আহসান নবনির্বাচিত সভাপতি মোস্তাফা জব্বারের হাতে বেসিসের পতাকা ও কার্যক্রমের প্রতিবেদন তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছয় কোটির বেশি।
“আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ও সেবা আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হচ্ছে। এই অগ্রযাত্রাকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেজন্য বেসিসকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের এই খাতের রপ্তানি আয় ২৬ মিলিয়ন থেকে বেড়ে এখন ৪০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বেসিসের বিদায়ী সভাপতি শামীম আহসান তার মেয়াদকালের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, সদস্যদের মানোন্নয়ন, তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল তৈরি, পলিসি তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছে বেসিস।