ব্রেক্সিট ধাক্কায় ক্ষতির শঙ্কা ঢাকা চেম্বারের

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে ব্যাহত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2016, 02:05 PM
Updated : 26 June 2016, 02:05 PM

এর ফলে বাংলাদেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য কমিটি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

শনিবার ডিসিসিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ১২ শতাংশ যুক্তরাজ্যে যায়। ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের অবমূল্যায়ন হলে তা বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহে মন্দাবস্থা তৈরি করতে পারে।

“ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) হতে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ প্রত্যাহারের গণরায় ইতোমধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, যেটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি ইউরোপের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের চলমান অগ্রগতির ধারাকে ব্যাহত করতে পারে। দৃশ্যত, ইইউ হতে যুক্তরাজ্যকে সরিয়ে নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বে নতুন একটি ভূ-রাজনৈতিক ধারার পাশাপাশি একটি ভূ-অর্থনৈতিক ধারা সৃষ্টি করতে পারে।” 

ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে গণভোট হয়, যাতে ৫২ শতাংশ ভোটে ইউরোপের ২৮ দেশের জোটের সঙ্গে চার দশকের বেশি সময়ের সম্পর্ক ছিন্নের পক্ষে রায় এসেছে।

ওই ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ডলারের বিপরীতে যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ডের দর পতন হয়েছে। এতে ঝাঁকুনি খেয়েছে বিশ্বের অর্থবাজার।

ঢাকা চেম্বারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ডিসিসিআই উদ্বেগের সাথে মনে করে, বেক্সিটের ধাক্কা বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধার আওতায় পণ্য রপ্তানি এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহের ধারাকে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি বিশেষ করে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও যুক্তরাজ্য কর্তৃক বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।”

বিষয়টিকে সক্রিয় বিবেচনায় নিয়ে এর সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।

বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইনজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে তারা।