মুঠোফোন সেবায় বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি অ্যামটবের

প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিকম কোম্পানির ওপর বিভিন্ন রকম অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2016, 05:05 PM
Updated : 25 June 2016, 05:05 PM

শনিবার বিকালে রাজধানীর এক হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টি আ এম নুরুল কবির।

শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব টেলিকম খাতের অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে সম্মেলনে দাবি করেন তিনি।

নুরুল কবির বলেন, “এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এই সেক্টরের অগ্রগতিতে বাধা পড়বে। বিদেশিরা এ খাতে বিনিয়োগ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে পারেন।”

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সিম বা রিম কার্ডের মাধ্যমে সেবার উপর বিদ্যমান তিন শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

গত বাজেটে মোবাইল সিম ট্যাক্স ‘ব্যাপক হারে’ কমানোর বিষয়টি তুলে ধরে ২ জুন বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “মোবাইল সিম বা রিম কার্ডের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার উপর বিদ্যমান তিন শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।”

গত বাজেটে নতুন মোবাইল সিমের শুল্ক হার ৩০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছিল।

অ্যামটব সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, টেলিকম খাতে ২০১৫ সালের মোট আয় বৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ। সরকার ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১ শতাংশ সারচার্জ মিলিয়ে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করেছে। আগের বছর থেকে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে ২ শতাংশ।

“ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বার্থে আমরা এই অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সারচার্জ প্রত্যাহারের দাবি করছি।”

ভ্যাট ট্রাইব্যুনালে জামানতের পরিমাণ ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করারও সমালোচনা করেন অ্যামটব সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, এই ধরনের বিধান দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে পারে। বিরোধপূর্ণ অর্থের ৫০ শতাংশ অগ্রিম আদায় ‘প্রাথমিকভাবে নির্দোষ ধরে নেওয়ার নীতি’ এবং করদাতার সংরক্ষিত অধিকারের পরিপন্থি।

শুল্কারোপের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ‘স্বেচ্ছাচারী’ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ করেন অ্যামটব নেতারা।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “এনবিআর দীর্ঘমেয়াদে দেখে স্বল্প মেয়াদে করারোপ করে। যখন টাকার কথা মনে হয়, তখনই তারা একটা শুল্ক সিদ্ধান্ত নেয়। আগের বছরের সম্পূরক শুল্কের ওপর জানুয়ারিতে আবার ১ শতাংশ কর বাড়িয়েছিল।

“এভাবে সর্বোচ্চ শুল্কদাতা প্রতিষ্ঠানে শুল্ক বাড়ানো হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কতদিন থাকবে, সেটার দিন গুনতে হবে। এ কারণে আমরা বলছি, সবাই মিলে বসে দীর্ঘমেয়াদে একটি শুল্ক পরিকল্পনা করি।”

এ সময় অন্যদের মধ্যে এয়ারটেল বাংলাদেশের প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা আশরাফুল এইচ চৌধুরী, রবি’র সহসভাপতি একরাম কবির, সিটিসেলের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তানিয়া মাহবুব, টেলিটকের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান খান, গ্রামীণফোনের স্টেকহোল্ডার রিলেশনস পরিচালক রায়হান রশিদ উপস্থিত ছিলেন।