‘ওয়ার্ল্ড পাবলিক সার্ভিস ডে’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিম জালিয়াতি করে বিকাশের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসপি হাফিজ বলেন, “সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে কলড্রপ। গ্রামীণফোন মারাত্মক কলড্রপ করছে।”
গত কয়েক মাসে গ্রামীণফোনের কলড্রপ ‘মারাত্মক আকার’ ধারণ করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এটা ছোটখাট কোনো বিষয় নয়। বিষয়টি অপারেটরটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো উন্নতি হয়নি।”
অবশ্য গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কলড্রপের বিষয়টি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে অনুষ্ঠানের পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন এসপি হাফিজ।
চট্টগ্রাম জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা গ্রামীণফোনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন।
পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহকের অপারেটর গ্রামীণফোনের কলড্রপের বিষয়টি এর আগেও আলোচনায় এসেছে। প্রতিটি ভয়েস কল ড্রপের জন্য এক মিনিট ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও দিয়েছিল তারা। গত ১ অক্টোবর থেকে ওই ‘অফার’ চালুর কথা ফলাও করে প্রচার করলেও ‘গ্রাহকদের না জানিয়েই’ কয়েক দিনের মধ্যে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অক্টোবরেই মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠিকে কলড্রপসহ অন্যান্য গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে মনোযোগী হতে বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরু করা গ্রামীণফোনের ৫৫.৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে নরওয়ের কোম্পানি টেলিনরের হাতে। গ্রামীণ ফোনের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৬০ লাখ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের এসপি বলেন, অবৈধ ভিওআইপি কলের ক্ষেত্রে সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের নম্বর বেশি ব্যবহার করা হয়।
যে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ডিজিটালাইজেশন’ করার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “সিকিউরিটির বিষয়টি স্ট্রং করে তারপর ডিজিটালাইজেশন করবেন।
‘অফিস খরচ হিসেবে ঘুষ নেওয়ার’ প্রসঙ্গ তুলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রধান হাফিজ বলেন, “যে নামেই নেওয়া হোক না কেন এসব বন্ধ করা অফিস প্রধানদের দায়িত্ব।”
সরকারি সেবার গতি বাড়াতে সংস্থাগুলোতে ‘রিওয়ার্ড এন্ড পানিশমেন্ট সিস্টেম’ চালুর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী ও জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।