দাবি পূরণ না হলে আগামী ৪ জুন থেকে সারা দেশের গহনার দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন বাজুস নেতারা।
গত বছর ৪ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক মূসক আদেশে নিট মূসকের হার ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাজুস সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান বলেন, পাশের দেশ ভারতে মূসক হার মাত্র ১ শতাংশ। দুবাইয়ে এ মূসক নেই। আর বাংলাদেশে মূসকের হার ৫ শতাংশ।
মূসক বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশের স্বর্ণ ক্রেতাদের ৯০ শতাংশ ওই দেশগুলো থেকে স্বর্ণ কিনেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এনামুল বলেন, “গত ৫ থেকে ৬ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে এখাত এমনিতে ক্ষতিগ্রস্ত। তারপর যোগ হয়েছে মূসক বৃদ্ধি। আর দু-তিন বছর এই মূসক থাকলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।”
আগামী অর্থবছর এ খাতে বিক্রির উপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করা হতে পারে শঙ্কা থেকে এই সংবাদ সম্মেলন করেন বাজুস নেতারা।
এনামুল বলেন, “আমরা আশঙ্কা করছি, সরকার সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বাজেটে জুয়েলারি খাতে মোট বিক্রির উপর ১৫% ভ্যাট আরোপ করতে পারে, যা এদেশে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা কোনো দিন মেনে নেবে না।”
বাজুস মূসক বা ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দেড় শতাংশ, স্বর্ণ আমদানি শুল্ক ৩ হাজার থেকে কমিয়ে দেড়শ টাকা করার দাবি জানিয়েছে। এ শিল্পের জন্য একটি টেকসই নীতিমালা প্রণয়নে তিন দফা দাবিও জানিয়েছে তারা।
“ভ্যাট ও কর পরিশোধ করে সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা ব্যবসা করতে আগ্রহী। তবে তা হতে হবে অবশ্যই সহনীয় ও প্রতিবেশী দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ,” বলেন এনামুল।
দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৪ জুন থেকে সারাদেশে সব জুয়েলারি দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন বাজুসের সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম।
একই দাবিতে আগামী ৫ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের সাবেক সভাপতি এমএ ওয়াদুদ, সহ-সভাপতি বর্গা চরণ ও গুলজার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।