পশ্চিমের দেশগুলোতে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে আসছে এমন ৫৫টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে পূর্বের এই আয়োজনে।
পাশাপাশি থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরবে বাংলার সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের নানা দিক।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী এপিরাদি টানট্রাপর্ন সোমবার ব্যাংককের কুইন সিরিকিত ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে তিন দিনের এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
ঢাকায় প্রতিবছর থাই বাণিজ্য মেলার আয়োজন হলেও দুই দেশের ৪৪ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে বাংলাদেশের পণ্য নিয়ে ব্যাংককে এ ধরনের আয়োজন এই প্রথম।
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ধারণা, তা আমরা বদলে দিতে চাই এই মেলার মধ্য দিয়ে।”
মেলার প্রথম দিন বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, থাইল্যান্ডের শিল্পমন্ত্রী আটচাকা সিবুন রুয়াং, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, থাইল্যান্ডের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভাইস মিনিস্টার পানসাক সিরিরুচাটাপংসহ দুই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা।
পণ্য পসরার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংগীত ও নৃত্যকে থাই দর্শকদের সামনে হাজির করতে ব্যাংককে উপস্থিত হয়েছেন ২০ সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল।
মেলার একটি পর্বে ফ্যাশন শোর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের সিল্কের গল্প। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের ভাষায়, এই সিল্ক থাই সিল্কের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
“আমাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল। অভাবটা শুধু যোগাযোগের। থাই নাগরিকরা আমাদের সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। তাই এ আয়োজনে আমাদের অন্যতম স্লোগান, দুই ঘণ্টায় দেখুন বাংলাদেশ।”
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের ওষুধ ও তৈরি পোশাক রপ্তানি এবং বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে থাই বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে থাকছে আলাদা আলোচনার আয়োজন।
বাংলাদেশের পাট, রেশম, তুলা শিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পর্যটন, কৃষিপণ্য, হিমায়িত মাছ, এবং আসবাব, জাহাজ নির্মাণ এবং টেলিযোগাযোগ খাতের বাণিজ্য সম্ভাবনার দিকগুলোও বাংলাদেশ এক্সপোতে তুলে ধরা হবে।
এছাড়া এ আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর কথা থাই বিনিয়োগকারীদের জানাবে এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যে শিল্প উৎপাদনেও এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে যে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, সে বিষয়ে থাইল্যান্ডের নীতি নির্ধারকদের খুব বেশি জানা নেই।
“আমরা তাদের দেখাতে চাই, জাপান ও চীনা বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আসছেন।”
আসিয়ান দেশগুলোতে বাণিজ্য প্রসারে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের জন্য প্রবেশ দ্বার হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত।
প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা বাংলাদেশ এক্সপো দর্শনার্থীদের জন্য খোলা।