ঢাকার কাঁচা বাজারে ১৬৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চড়া মূল্যে বিক্রি হতে থাকা পেঁয়াজ, রসুনসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম কমেছে এ সপ্তাহে, তবে বেড়েছে চিনির দাম।
আগের মতোই বাড়তি দাম দেখা গেছে ডাল ও ছোলায়।
>> দাম বেড়েছে চিনি: প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা
>> অপরিবর্তিত রয়েছে ছোলা: প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা
>> কমেছে পেঁয়াজ, রসুন: রসুনে কমেছে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা
>> ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ২০ থেকে ৩৫ টাকা
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহেও এই পণ্যটি সর্বোচ্চ ৫৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দেশি পেঁয়াজ ও আমদানি করা রসুনের দাম কেমন জানতে চাইলে বিক্রেতা কামরুল শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাজারে চায়না থেকে আমদানি করা রসুন এখন কেজি ১৮০ টাকায় চলছে। দেশি রসুনের দাম ১২০ টাকা। আর ফরিদপুরের এক বিচি রসুন ১৪০ টাকা।”
আগের সপ্তাহে রকমভেদে রসুনের দাম ছিল বর্তমান মূল্যের চেয়ে অন্তত ২০টাকা বেশি।
কামরুল জানান, দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৬ টাকায় নেমে এসেছে। গত সপ্তাহেও এই পণ্যটির কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ছিল।
ভালো সরবরাহ থাকায় পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমছে বলে মনে করেন এই বিক্রেতা।
এদিকে রোজার সময়ে ইফতারের অন্যতম প্রধান উপকরণ ছোলার কেজি ৬৫ টাকা থেকে ধাপে ধাপে বেড়ে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় পৌঁছে গত সপ্তাহে।
সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম নতুন করে না বাড়লেও কমেনি। ডালের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকান সোনারগাঁও স্টোরের বিক্রয়কর্মী রিফাত বলেন, “ছোলা ও ডালের দাম কমেনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন করে চিনির দাম বেড়েছে।”
এই দোকানে প্রতি কেজি চিনি ৫৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা দেছে। পাশেই চাঁদপুর স্টোরে চিনির পাইকারি দাম ছিল ৬০ টাকা।