নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে সুইফট

বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের বৈশ্বিক সংগঠন সুইফট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2016, 07:03 PM
Updated : 24 May 2016, 07:03 PM

মঙ্গলবার ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশনের (সুইফট) নির্বাহী প্রধান গোটফ্রিড লেইব্রান্ডটের বক্তব্য উদ্ধৃত করে রয়টার্স এই খবর দিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার লোপাট হয়।

হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সুইফটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁত নিয়ে অভিযোগ তোলা হলেও সংস্থাটি তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিল।

নিজেদের প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তষ্টি জানিয়ে আসা সুইফটের নির্বাহী প্রধান লেইব্রান্ডট এর মধ্যেই ব্রাসেলসে সম্মেলনে বলেন, এই সপ্তাহেই একটি পাঁচ দফা নিরাপত্তা পরিকল্পনা চালু করতে যাচ্ছেন তারা।

বিশ্বের ২০টিরও বেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইফটের নেটওয়ার্কিং ব্যবহার করে, যার সঙ্গে মুদ্রা আদান-প্রদানে আরও যুক্ত রয়েছে ১১ হাজারেরও বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

এতে যুক্ত কোনো ব্যাংক তার একাউন্ট থেকে অর্থ স্থানান্তরের জন্য সুইফট সিস্টেমে মেসেজ পাঠায়, তখন সেই নির্দেশ অনুযায়ী অর্থ স্থানান্তর হয়। হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে পড়েছিল বলে সুইফট বলছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার আগে গত বছর একই কায়দায় ইকুয়েডরের একটি ব্যাংকের ১ কোটি ২০ লাখ ডলার চুরি হয়েছিল। তারও আগে ভিয়েতনামের একটি ব্যাংকের অর্থ চুরির চেষ্টা হয়েছিল।    

লেইব্রান্ডট বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনাটি বিশ্বের ব্যাংক খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

“বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনার আগের পরিস্থিতি এক রকম, পরের পরিস্থিতি অন্যরকম। ওই ঘটনাটি একটি বিভাজন রেখা টেনে দিয়েছে। ওই ঘটনা মোটেই ছোট কোনো ঘটনা নয়, বড় ঘটনা। এটা বিশ্বের ব্যাংক ব্যবস্থার মূলে আঘাত।”

হ্যাকিংয়ের জন্য গ্রাহক ব্যাংককে প্রযুক্তিগত দুর্বলতার দিকে ফের অভিযোগের আঙুল তুলে সাইবার হামলার ঝুঁকি মোকাবেলায় তাদের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন সুইফটের নির্বাহী প্রধান।