সিম পুনঃনিবন্ধনে ‘নিয়ম ভাঙার পুরস্কার’ নিয়ে ক্ষোভ  

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের শেষ সময়ে নামমাত্র মূল্যে ইন্টারনেট আর টকটাইমের লোভনীয় অফারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে অপারেটরগুলোর মধ্যে।

শামীম আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2016, 10:24 AM
Updated : 23 May 2016, 11:25 AM

সেই সঙ্গে আছে স্মার্টফোন ও লাখ টাকা পুরস্কার জেতার সুযোগ।

অপারেটরগুলোর এ ধরনের অফার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিয়ম মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা অনেক গ্রাহক।

তারা বলছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আইন অমান্য করার জন্যই অপারেটরগুলোর এসব পুরস্কার।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সেলিম খান বললেন, “যারা নিয়ম মানল তারা কিছুই পেল না। আর যারা নিয়ম ভাঙ্গলো তাদের জন্যই নানা পুরস্কার! এটা কেমন বিচার?”

গত মাসে সিম পুনঃনিবন্ধন করে লাখ টাকার কথিত অফার ‘হাতছাড়া’ হলেও মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে ‘বাড়তি’ কোনও চাওয়া নেই তার।

“সব ঠিকঠাক চলুক এটাই চাই। সরকারের এই সিদ্ধান্তকেও আমি স্বাগত জানাই।”

বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন।

বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের হাতে থাকা ১৩ কোটি মোবাইল সিমের মধ্যে ১৫ মে সকাল পর্যন্ত ৯ কোটি ৪০ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে।

মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও বাংলালিংক মে মাসের শুরু থেকে সিম পুনঃনিবন্ধনে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া প্রতি ২০ মিনিটে একটি করে স্মার্টফোন জিতে নেওয়ার অফার রয়েছে গ্রামীণফোনে।

অপারেটদের দেওয়া অন্য সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে বোনাস টকটাইম ও নামমাত্র দামে ইন্টারনেট ডেটা প্রাপ্তিসহ নানান লোভনীয় অফার।

এখানেই ‘ক্ষোভ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জাকারিয়ার।

“জানুয়ারিতেই নিজের তিনটি সিম পুনঃনিবন্ধন করেছি। নিয়ম মেনে আগেভাগে নিবন্ধন করে কোনও পুরস্কার পেলাম না। যারা নিয়ম মানল না তাদেরই পুরস্কৃত করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা রহমান মনে করেন, সিম পুনঃনিবন্ধনে সবার জন্য ‘একই অফার’ থাকা উচিত ছিল।

“যারা আগে পুনঃনিবন্ধন করেছি, তাদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে দিলেই হয়। লাখ টাকা না পাই, কিছু একটা পেলেও তো আর মনে কষ্ট থাকবে না,” বলেন তিনি।

সরকারের বেঁধে দেওয়া নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে। এরপর যেসব সিমের নিবন্ধন থাকবে না সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

৩১ মে ‘জিরো আওয়ার’ থেকেই এ সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।