ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য সমন্বয়ে ‘বিজনেস কাউন্সিল’ হচ্ছে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সমন্বয়ে ‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 08:29 AM
Updated : 10 Feb 2016, 08:29 AM

বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠন করব। বাংলাদেশে ইইউর ৮টি দেশের দূতাবাস আছে। এই আট দেশ সদস্য থাকবে।

“বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নিয়ে এই কাউন্সিল হবে। তাছাড়া প্রাইভেট সেক্টরের লোকদেরকে রাখা যায় কি-না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ বাংলাদেশে কিভাবে ব্যবসা করবে, আমরা কিভাবে রপ্তানি করব- এগুলো সমন্বয় করবে বিজনেস কাউন্সিল। ব্যবসা বাণিজ্য আরও কিভাবে সমৃদ্ধশালী করা যায়- সেটা হবে কাউন্সিলের মূল কাজ।”

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য লিন ল্যাম্বার্টের নেতৃত্বে রিচার্ড হাওইট, ইভান স্টিফেন, সাজ্জাদ করিম সভায় অংশ নেন।

সভায় আলোচনার বিষয় সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের বিনিয়োগ পলিসি সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের ইনভেস্টমেন্ট পলিসি খুব লিবারেল। এখানে শতভাগ মূলধন আমরা অ্যালাউ করি। এখানে লাভ এবং মূলধন যে কোনো সময় নিয়ে যেতে পারবে।

“ডাবল ট্যাক্সেশন এড়ানোর ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে। এখানে ট্যাক্স দিলে ওই দেশে দিতে হবে না। ওইখানে ট্যাক্স দিলে এখানে দিতে হবে না।”

বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, এই পর‌্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৮০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স এবং ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ। ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ১৫৪৯টি, অ্যাকর্ড ১৩৫৬ এবং অ্যালায়েন্স ৮২৯টি কারখানা পরিদর্শন করেছে।

“এরমধ্যে ৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ আর আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি কারখানা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।”

বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা শতকরা দুই ভাগের কম দাবি করে তোফায়েল বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরিতে’ রূপান্তরিত হতে চলেছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটা উদ্বোধন করেছি। আরও প্রায় ৭০টির মতো পাইপলাইনে আছে। আমাদের কারখানাগুলো ‘কম্প্লায়েন্ট’ কারখানায় রূপান্তরিত হতে চলেছে।”

ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বাণিজ্যিক সুবিধা, যার আওতায় বাংলাদেশসহ স্বল্পন্নোত দেশগুলো অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ এলডিসি না থাকলে কি হবে- এই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এটা আলোচনা করেছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্য পদ্ধতি আছে। অন্য অনেক দেশকে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা দেয়। আমরা ২০২১ সালে আপগ্রেডেশনের পরিকল্পনা করছি। প্রশ্নটা তখন উঠবে।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল-মামুন সভায় উপস্থিত ছিলেন।