দুই লাখের বেশি কর্মী নেবে কাতার: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

নির্মাণ ও সেবাসহ বিভিন্ন খাতে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে দুই লাখের বেশি কর্মী মধ্যপ্রাচ্যর দেশ কাতারে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2016, 09:35 AM
Updated : 7 Feb 2016, 09:49 AM

কাতার সফর থেকে ফিরে রোববার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী দুই বছরে তিন লাখের বেশি কর্মী যাবে দেশটিতে। এসব কর্মী নিতে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় উভয় দেশের যৌথ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

গতবছর কাতার এক লাখ ২৩ হাজার ৯৬৫ জন কর্মী বাংলাদেশ থেকে নিয়েছে জানিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে।

“এ জন্য দেশটিতে নির্মাণ ও সেবাসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এমনও হতে পারে চলতি বছরে দুই লক্ষাধিক কর্মী যেতে পারে কাতারে।”

দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মীর বিষয়ে কাতারে আগ্রহ বেশি জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী জানান, কাতার বিক্রয়কর্মী, নার্স, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও অফিস কর্মচারী হিসেবে সব খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায়।

কর্মীদের বেতন-ভাতা এবং অভিবাসন ব্যয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা উভয় দেশের যৌথ কমিটি বসে ঠিক করবে। দেশটিতে বর্তমানে ন্যূনতম বেতন ৭০০ রিয়াল, তা বৃদ্ধি করে এক হাজার ২০০ রিয়াল করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।”

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, কাতার সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী ড. ঈসা সাদ আলজাফালি আল নুয়াইমির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।

“আগে কাতার সরকার জানত, বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ মুসলিমের দেশ। আমরা তাদের বলেছি, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগই মুসলিম।

“তখন তারা বলেছেন, তোমরা আমাদের ভাই। তোমাদের দেশ থেকে অধিক সংখ্যক দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশে থেকে নামাজি কর্মী চায় কাতার।”

কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে নামাজির বিষয়টি এল কেন সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “তারাই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল তোমাদের দেশের লোক নামাজি কিনা। আমরা তাদের বলেছি, হ্যাঁ অধিকাংশ মানুষই নামাজি।”

সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্দ জুলহাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুর রউফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।