বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে ফ্রেড হচবার্গ বলেন, “আমি এখানে এসেছি। এটি একটি অ্যাক্সাইটিং ইকোনমি এবং পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। ২০১৬ সালে এটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর, যার মধ্যে সিঙ্গাপুর এবং ভারত রয়েছে।”
“কিন্তু এখানে বিদ্যুৎ, লজিস্টিকস, অবকাঠামো এবং পরিবহন খাতে অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব কিছুই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি সরবরাহ করতে পারে এবং এক্স-ইম ব্যাংক অর্থ যোগান দিতে পারে।”
মন্ত্রীর সঙ্গে কার্যকর বৈঠক হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“আজ ও আগামীকাল আলও বেশ কয়েকটি সভা আছে। এখানে অনেক সুযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ এবং জনগণ যাতে সেটা বুঝতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে আমি এখানে এসেছি।”
অন্যদের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনের সফরে ঢাকা আসার পর প্রথমদিন তিনি এই সভা করেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, এক্স-ইম ব্যাংকের এই প্রেসিডেন্ট সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরের শেষদিন বৃহস্পতিবার ‘অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্সে’র আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
দূতাবাস থেকে আরও জানানো হয়, ফ্রেড হচবার্গ গত ছয় বছর ধরে সারা বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নির্মাণ, ফার্ম মেশিনারি, চিকিৎসা বিষয়ক প্রযুক্তি ও অ্যাভিয়োনিক্স খাতে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের প্রসার বাড়াতে কাজ করেছেন।
এর আগে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি নিউ ইয়র্কে দ্য নিউ স্কুলের ব্যবস্থাপনা ও নগর নীতি বিষয়ক মিলানো স্কুলের ডিন হিসেবে কাজ করেছেন।