বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘আইসিটি ইউজ অ্যান্ড একসেস বাই ইনডিভিজুয়ালস অ্যান্ড হাউজহোল্ড, বাংলাদেশ-২০১৩’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
২০১৩ সালের প্রতিবেদন ২০১৬ সালে দেওয়ায় বিবিএস'র সমালোচনা করে পলক বলেন, “এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০১৩ সালের প্রকাশনাটা এখন ২০১৬ সালে এসে দেখতে হচ্ছে।
“আমরা কি এভাবেই দুই বছর পরপর প্রকাশনা প্রকাশ করব, নাকি তথ্য হালনাগাদ করে সারা বিশ্বের কাছে প্রকৃত তথ্যটা তুলে ধরব?”
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “হার্ডওয়্যারে এগিয়ে গিয়েছি, সফটওয়্যারে রেজিস্ট্রারড কোম্পানিগুলো ২৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, ফ্রিল্যান্সিং থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করছি। এগুলো কিন্তু পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে নেই।
“প্রতিবেদন বলছে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, অথচ তা ৩০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।”, যোগ করেন তিনি।
সঠিক তথ্য না থাকার কারণে ‘বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সমস্যা হচ্ছে’ মন্তব্য করেন পলক।
“বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ নিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আর ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস থেকে তথ্য নেয়। সেখানে এই রকম পরিসংখ্যান থাকলে ইনভেস্টমেন্ট আনতে সমস্যায় পড়তে হয়।”
ভবিষ্যতে প্রতিবেদন তৈরিতে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে নেওয়ার অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘দেশেই কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে’ বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
“আমরা একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য ঠিক করেছি, অনেকে হাসছে, অনেকে ক্রিটিসাইজ করছে। কিন্তু আমরা বিজয়ী জাতি।
“আমাদের তরুণ মেধাবী প্রজন্ম রয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিডাররা রয়েছেন, যুগোপযোগী আইন রয়েছে, সরকারের উদ্যোগ রয়েছে; এরপরও যা যা প্রয়োজন করা হবে।”
বিবিএস ও সরকারের আইসিটি ডিভিশনের যৌথভাবে আয়োজিত ওই কর্মশালায় দ্রুত তথ্য প্রকাশে বিবিএস এর সক্ষমতার অভাব স্বীকার করে নেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ।
“প্রতিমন্ত্রী পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন নিয়ে তৈরি বিব্রতকর অবস্থার কথা আগেই সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন। এরপর মনে হয়েছে, এটা নিয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হওয়া দরকার। তারপরই কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার উপস্থিত ছিলেন।