পুঁজিবাজার চাঙ্গায় অব্যাহত থাকছে ‘বিশেষ সুবিধা’

পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া ‘বিশেষ সুবিধা’ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2015, 02:54 PM
Updated : 30 Nov 2015, 02:54 PM

এরমধ্যে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ২০ শতাংশ কোটার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর হয়েছে।

এছাড়া মার্জিন রুলস স্থগিতাদেশে এবং প্রভিশনিং সংরক্ষণের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে এক বছর করে।

সোমবার সংস্থার চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে কমিশনের ৫৬০তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিশেষ স্কিমের আওতায় সব পাবলিক ইস্যুতে (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব- আইপিও) ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের মেয়াদ ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৩০ জুন ২০১৭ সাল পর্যন্ত (এক বছর) বাড়ানোর জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করবে কমিশন।

২০০৯ এবং ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে নতুন আইপিও-এর ২০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করেছিল বিএসইসি।

মার্জিন রুলস স্থগিতের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আবদেনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কমিশন মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর ৩(৫) এর কার্যকারিতা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

পুঁজিবাজারে ধসের মধ্যে ঋণ নিয়ে টাকা খাটিয়ে লোকসানে পড়া বিনিয়োগকারীদের দাবির পরিপেক্ষিতে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মার্জিন রুলস স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিএসইসি।

মেয়াদ বাড়ানোর ফলে মার্জিন রুলস স্থগিতাদেশ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারায় উল্লেখ করা হয়, কোনো বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তার কাছে নতুন করে মার্জিন চাইবে। এই মার্জিনের পরিমাণ এমন হবে যাতে তার ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের উপরে থাকে।

এই স্থগিতাদেশের ফলে মার্জিন ঋণের কারণে গ্রাহকের ইক্যুয়িটি ঋণাত্মক হয়ে গেলেও তাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়।

সভায় পুঁজিবাজারে স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং তাদের বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত উদ্ভূত পুনঃমূল্যায়নজনিত ক্ষতির (আন-রিয়েলাইজ লস) বিপরীতে রক্ষিত প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদও এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা এককালীন সংরক্ষণের পরিবর্তে ডিসেম্বর, ২০১৫ হতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫টি ত্রৈমাসিক সমান অংশে সংরক্ষণ করা যাবে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিএসইর আবেদনের পরিপেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি বিএসইসির এসইসি/ সিএসআরআরসিডি/ ২০০৯-১৯৩/১৬৬ জারি করা নির্দেশনার অনুরূপ প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বৃদ্ধির ঐচ্ছিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়।