পৌষের শুরুর দিকে নতুন চাল বাজারে এলে চালের দামও পড়বে বলে আভাস মিলেছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
দুই সপ্তাহ আগে নতুন আলু কেজিপ্রতি একশ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন মিলছে ৭০ টাকায়। কেজিতে ৩০ টাকা কমলেও এই দর আরও বেশি হারে কমার কথা ছিল বলে মনে করেন আড়ৎদাররা।
তারা বলছেন, পুরনো আলুর মজুত থেকে যাওয়ায় সে তুলনায় দাম কমছে না; মজুতদাররাও আলু ছাড়লেই দাম কমে আসবে।
শুক্রবার ঢাকার অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর বেশ কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, কাঁচামরিচ, বেগুন, গাজরসহ অন্যান্য সবজি।
সবজির আড়ৎদার রাসেল হোসেন বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রতি কেজি শিম ১৫ থেকে ২০ টাকা, মরিচ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ২০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
প্রায় দেড় মাসে আগে পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে একশ টাকা হয়েছিল।
কারওয়ান বাজারে আলুর আড়ৎ সোনার বাংলা ট্রেডার্সের তত্ত্বাবধায়ক আবুল হোসেন বলেন, “আলুর দাম ওঠানামা করে কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের ইচ্ছায়। পুরান আলুর স্টক এখনও শেষ না হওয়ায় তারা নতুন আলুর সরবরাহ বাড়াচ্ছেন না।”
নতুন আলু আসতে শুরু করলে প্রতিকেজির দাম ১০/১৫ টাকায় নেমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে স্থিতিশীল থাকা চালের বাজার আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন চাটখিল রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী বেলাল হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নতুন চাল বাজারে এসে যাওয়ার কথা। তখন দামও কিছুটা কমতে পারে।”
বর্তমানে তার কাছে থাকা বাদশা ভিআইপি ব্র্যান্ডের নাজির চালের বস্তা (২৫ কেজি) ১৫০০ টাকা, মিনিকেট চালের বস্তা (৫০ কেজি) ২২শ’ টাকা, কাটারি চালের বস্তা (২৫ কেজি) ১৯শ’ টাকা এবং চিনিগুঁড়া চালের ৫০ কেজির বস্তা ৩৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বেলাল।
তবে কোম্পানি ভেদে চালের দামে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। বাজারে ডায়মন্ড, জিহান, কৃষাণসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড রয়েছে।
ডিসেম্বরের শুরু থেকে চাল, ডাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনির ব্যবসায়ীদেরকে প্লাস্টিকের বস্তার পরিবর্তে পাটের বস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয়।
পাটের ব্যাগের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এই নির্দেশনা বাজারে প্রভাব ফেলবে বলেও আভাস দেন বেলাল।
এর আগে সকালে রাজধানীর ফকিরাপুল কাঁচাবাজারে কথা হয় ওয়াসা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে।
তিনি জানান, তরকারি-সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। এরকম অবস্থা খুব কমই দেখা যায়।
“মুরগির দাম কমলে মসলার দাম বাড়তি থাকে। কোনোদিন পেঁয়াজ কমদামে পেলে রসুনের দাম চড়া থাকে। এখন আলু-পেঁয়াজ ছাড়া তুলনামূলক সব পণ্যের দামই কিছুটা কম। কতদিন এরকম থাকে সেটাই দেখার বিষয়।”