বাংলাদেশে ‘চোখ’ ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের

যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফ্রান্সিস মোউডে বলেছেন, তার দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মুখিয়ে আছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 10:51 AM
Updated : 25 Nov 2015, 10:51 AM

মাল্টায়েএক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে একথা বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জানান, অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাত ও চাকরিবাজারে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আগামী বছরের শুরুতেই একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশব্যাপী ১০০টি ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’সহ নানান পরিকল্পনার কথা যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা যদি বাংলাদেশে বিদ্যমান এসব সুযোগ না নিতে পারে, তাহলে তারা বঞ্চিত হবে।”

মন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) নেওয়া বড় কয়েকটি প্রকল্পের কথা বলেন এবং সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান। 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে ‘ইনোভশন পার্ক’ ও ‘ব্লু ইকোনমি’তে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

মাহমুদ আলী যুক্তরাজ্যে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও এসব প্রকল্পে বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শেফ নিয়োগে বিধি-নিষেধের বিষয়টি উল্লেখ করে তা নিরসনে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি শেফদের যুক্তরাজ্যে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি মোটেও ‘অভিবাসন সংক্রান্ত’ বিষয় নয়, এটি ব্যবসা সংক্রান্ত।

“ঠিকভাবে এ সমস্যাকে চিহ্নিত করতে না পারলে যুক্তরাজ্যের কারি ইন্ড্রাস্টির শতকোটি পাউন্ডের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী পায়রা বন্দরের ‘সম্ভাব্যতা পরীক্ষায়’ তার দেশের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

তিনি জটিল প্রকৌশল, সমুদ্র ও বিমানবন্দরের প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ প্রকল্প, কন্টেইনার টার্মিনাল, রেল ও সড়ক যোগাযোগ যুক্তরাজ্যের সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী একইসঙ্গে চাকরির বাজারে তার দেশের নাগরিকদের সফলতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের বাজারে বিনিয়োগ অর্থায়ন, বীমা ও পুনর্বীমা সেবায় আগ্রহ দেখান।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. আব্দুল হান্নান, পিপিপি প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আফসার উদ্দিন, বিনিয়োগ বোর্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আব্দুজ জাহের এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বৈঠকে ছিলেন।

কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাল্টায় পৌঁছান। সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

২৭-২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলন ছাড়াও মন্ত্রী সেখানে কমনওয়েলথ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকসহ বেশ কিছু বৈঠকে অংশ নেবেন।